কৃমি (পরজীবি): সকল প্রকার গবাদি পশুই অন্তঃ ও বহিঃ পরজীবি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। গবাদি পশুর কৃমি সংক্রমণ ও প্রতিকার নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাই ?
গবাদি পশুর কৃমি সংক্রমণ ও প্রতিকার
 কৃমি (পরজীবি): সকল প্রকার গবাদি পশুই অন্তঃ ও বহিঃ পরজীবি দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে।
  
 অন্তঃ পরজীবিকে কৃমি বলা হয়। অন্তঃ পরজীবিকে ৩ ভাগে ভাগ করা হয়-
 ক) পাতা কৃমি।
 খ) ফিতা কৃমি।
 গ) গোল কৃমি।
 বহিঃ পরজীবির মধ্যে উকুঁন, আঁটালী ও মাইট উল্লেখযোগ্য। আইভারমেকটিন ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করা যেতে পারে ।
  
 কৃমির লক্ষণঃ
 পশুর খাদ্য পুষ্টিতে ভাগ বসায় ও পশুর রক্ত শোষণ করে। পশু দিনদিন শুকিয়ে দূর্বল ও হাড্ডিসার হয়ে পড়ে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায়। পাতলা পায়খানা করে। শরীরের লোম বা পশম উসকো খুসকো থাকে। অনেক ক্ষেত্রেই বাছুরের মৃত্যু ঘটে। বয়স্ক পশুর উৎপাদন কমে যায়।
  
 কৃমি হলে  করণীয় কি ?
 পশুকে বছরে ৩-৪ বার নিয়মিত কৃমিনাশক ঔষধ খাওয়াতে হবে গবাদি পশুর বাসস্থান পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বহিঃ পরজীরি ক্ষেত্রে নিয়মিত পরজীবি নাশক ঔষধ সেপ্র করতে হবে।
  
 কৃমি হলে  চিকিৎসা কি ?
 ক) পাতা কৃমি। ট্রাইকেলা বেনডাজল / অক্সিবেনডাজল ইত্যাদি ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করা যেতে পারে ।
 খ) ফিতা কৃমি। চিকিৎসা: নিকলোসামাইড জাতীয় ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করা যেতে পারে ।
 গ) গোল কৃমি। চিকিৎসা: অলবেনডাজল /ফেনবেনডাজল /মে বেনডাজল /লিভামেসল /পাইপেরাজিন / আইভারমেকটিন ইত্যাদি ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করা যেতে পারে ।
 বহিঃ পরজীবির মধ্যে উকুঁন, আঁটালী ও মাইট উল্লেখ যোগ্য। আইভারমেকটিন ঔষধ দ্বারা চিকিৎসা করা যেতে পারে ।

