Friday, 03 May, 2024

সর্বাধিক পঠিত

ভেজাল সার চেনার উপায় কি ?


ভেজাল সার চেনার উপায়

উচ্চ ফলনশীল ও হাইব্রিড জাতের চাষ বৃদ্ধির ফলে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন রাসায়নিক সারের ব্যবহার বৃদ্ধি হয়েছে। এর সু্যোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী সারে ভেজাল দ্রব্য মিশিয়ে নকল সার বা ভেজাল সার তৈরি ও বিক্রি করছেন।

কৃষক ভাইদেরকে আসল সার ও ভেজাল সারের পার্থক্য বুঝতে একটু সতর্ক হতে হবে। একটু সচেতন হলেই কৃষক ভাইয়েরা খুব সহজেই এই প্রতারণার হাত থেকে মুক্তি পেতে পারেন। কিভাবে আসল বা ভেজাল সার শনাক্ত করা যায় তার কয়েকটি সহজ উপায় সম্পর্কে জানানো হলো:

ইউরিয়া সার চেনার সহজ উপায়:

আরো পড়ুন
করলার লাভজনক চাষ পদ্ধতি
লাভজনক করলা চাষ

করলার লাভজনক চাষ চাষ পদ্ধতি করলার ইংরেজি নাম Gourd, আমাদের দেশে করলা গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও বর্তমানে করলা বার মাসই বাজারে Read more

বাংলাদেশে কেন বাড়ছে না ভেনামি চিংড়ির বানিজ্যিক চাষ

বাগদা চিংড়ির (ব্ল্যাক টাইগার) চেয়ে ভেনামির উৎপাদন খরচ প্রায় অর্ধেক। তারপরও বাংলাদেশে কেন বাড়ছে না ভেনামি চিংড়ির বানিজ্যিক চাষ ? Read more

ইউরিয়া সার কেনার সময় প্রথমেই দেখে নিতে হবে যে সারের দানাগুলো সমান কিনা কারন আসল ইউরিয়া সারের দানাগুলো সবসময় সমান হয়। ইউরিয়া সারে লবণ অথবা কাঁচের গুড়া ভেজাল হিসাবে যোগ করা হয়।

ইউরিয়া সার
ইউরিয়া সার

নকল সার চেনার জন্য চা চামচে অল্প পরিমান ইউরিয়া সার নিয়ে তাপ দিলে এক মিনিটের মধ্যে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ তৈরি হয়ে সারটি গলে যাবে। যদি ঝাঁঝালো গন্ধ সহ গলে যায়, তবে বুঝতে হবে সারটি আসল।

টিএসপি সার চেনার সহজ উপায়:

আসল টিএসপি সার পানিতে দেয়ার ৪ থেকে ৫ ঘন্টা পর পানির সাথে মিশবে এবং টিএসপি সার পানিতে মিশালে সাথে সাথে গলবে না।

টি এস পি সার
টি এস পি সার

কিন্তু ভেজাল টিএসপি সার পানির সাথে মিশে যাবে বা পানির সাথে মিশালে অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই গলে যাবে।

ডিএপি সার চেনার সহজ উপায়:

ডিএপি সার চামচে অল্প পরিমান নিয়ে একটু গরম করলে এক মিনিটের মধ্যে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ হয়ে তা গলে যাবে। ভেজাল সার কখনো সম্পূর্ণরুপে গলে যাবে না। আংশিকভাবে যদি  গলে যায় তবে বুঝতে হবে সারটি আংশিক পরিমান ভেজাল আছে।

ডিএ পি সার
ডিএ পি সার

এছাড়াও হাতের মুঠোয় কিছু পরিমান ডিএপি সার নিয়ে চুন যোগ করে ডলা দিলে অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ বের হবে। অ্যামোনিয়ার ঝাঁঝালো গন্ধ বের না হলে বুঝা যাবে সারটিতে ভেজাল আছে।

এমওপি বা পটাশ সার চেনার সহজ উপায়:

বাজারে সাধারনত ইটের গুড়া পটাশ সারের সাথে মিশিয়ে বিক্রী করা হয়। এমওপি বা পটাশ সার গ্লাসে পানি নিয়ে তাতে  মিশালে সার গলে যাবে। তবে ভেজাল হিসাবে ইট বা অন্য কিছু  মিশানো থাকলে তা পানিতে গলে না গিয়ে গ্লাসের তলায় পড়ে থাকবে। তলানি দেখে সহজেই নিশ্চিত হওয়া যায় সারটি আসল নাকি নকল।

এম ও পি সার
এম ও পি সার

জিংক সালফেট সার চেনার সহজ উপায়:

পটাশিয়াম সালফেটকে ভেজাল হিসাবে  জিংক সালফেট সারের সাথে মেশানো হয়। জিংক সালফেট সার চেনার জন্য হাতের তালুতে এক চিলতে জিংক সালফেট নিয়ে তার সাথে পটাশিয়াম সালফেট সমপরিমান  নিয়ে ঘষলে ঠান্ডা মনে হবে এবং দইয়ের মতো গলে যাবে।

জিংক সালফেট সার
জিংক সালফেট সার

One comment on “ভেজাল সার চেনার উপায় কি ?

রতন

সত্যি ই প্রশংসনীয় উদ্দগ। ভিডিও অনেক আছে। কিন্তু সল্প নেট স্পিড এর জন্য গ্রাম এর মানুষ রা টেক্সট ভিত্তিক তথ্য খোঁজে। ভাল লাগছে আপনাদের কাজ গুল। এপার বাংলা অপার বাংলা সবার জন্যই ভাল। চালিয়ে জান, সাথে আছি।

Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *