Saturday, 04 May, 2024

সর্বাধিক পঠিত

ধান-চাল সংগ্রহ সফলে সরকারি ১৩ নির্দেশনা


চলতি বোরো মৌসুমে সরকারিভাবে সাড়ে ১৬ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহ সফল করতে ১৩টি নির্দেশনা দিয়ে পরিপত্র জারি করেছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।

নির্দেশনার পরিপত্রটি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, সব বিভাগীয় কমিশনার, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, সব জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

সস্প্রতি খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারি করা হয়।

আরো পড়ুন
কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন রক্ষার্থে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ

কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির উন্মুক্ত স্থান। প্রজনন ক্ষেত্র বাচানোর জন্য রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ২৫ এপ্রিল থেকে Read more

বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ

এবারের ২০২৪ সালের বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ রবিবার মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও Read more

পরিপত্রে বলা হয়েছে, চলতি বোরো ২০২১ সংগ্রহ মৌসুমে ইতোমধ্যে ৬ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধান ও ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করে উপজেলাওয়ারি বিভাজন মাঠ পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।

বোরো ২০২১ ধান ও চাল সংগ্রহ সফল করার জন্য নিম্নোক্ত ১৩ নির্দেশনা দেওয়া হলো:

ধান সংগ্রহের ক্ষেত্রে অবিলম্বে জেলা/উপজেলা সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটির সভা সম্পন্ন করতে হবে। কৃষকের অ্যাপের বাইরে উপজেলাগুলোতে লটারি করে ধান সংগ্রহ দ্রুত শুরু ও শেষ করতে হবে। কৃষকের অ্যাপভুক্ত উপজেলায় রেজিস্ট্রেশন দ্রুত সম্পন্ন করে সিস্টেমে লটারি করে কৃষক নির্বাচন করে দ্রুত সংগ্রহ করতে হবে ধান।

যেহেতু দ্রুততার সঙ্গে সংগ্রহ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে সেহেতু যথাসময়ে কৃষকের তালিকা পাওয়া না গেলে এবং কৃষকের অ্যাপে কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক আবেদন পাওয়া না গেলে আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনতে হবে। এ বিষয়ে গত ৩ মে ও ৪ মে সুস্পষ্টভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ধান সংগ্রহের বিষয়টি মাইকিং, লিফলেট বিতরণ, স্থানীয় কেবল টিভি স্ক্রলে প্রদর্শন প্রভৃতি উপায়ে বহুল প্রচারণার জন্য সার্বিক ব্যবস্থা নিতে হবে। যেহেতু চলমান চাল সংগ্রহ মৌসুমে পাক্ষিক ছাঁটাই ক্ষমতা অপেক্ষা বরাদ্দ কম তাই চাল সংগ্রহ ৩০ জুনের মধ্যে ৭৫ শতাংশ, জুলাইয়ের মধ্যে বাকি ১৫ শতাংশ এবং আগস্টের মধ্যে বাকি ১০ শতাংশ সম্পন্ন করার জন্য (তারিখ, পরিমাণ, সময়ভিত্তিক সিডিউল প্রস্তুতপূর্বক) জেলা, উপজেলা ও গুদামভিত্তিক রোডম্যাপ তৈরি ও সেই অনুসারে সংগ্রহ সম্পন্ন করতে হবে। সংগৃহীত প্রতিটি চালের বস্তায় সবশেষ নির্দেশনা অনুযায়ী স্টেনসিল নিশ্চিত করতে হবে।

এছাড়া ৯ মে’র মধ্যে চাল সংগ্রহের জন্য মিলারদের সঙ্গে সম্পন্ন করতে হবে চুক্তি। চুক্তির মেয়াদ কোনোক্রমে বাড়ানো হবে না। চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার অব্যবহিত পর দ্রুত সময়ের মধ্যে মিলারদের অনুকূলে বরাদ্দপত্র ইস্যু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুলিপি দিয়ে অবহিত করতে হবে। যুগপৎভাবে ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও ত্বরান্বিত করতে হবে।

বিনির্দেশসম্মত ধান ও চাল সংগ্রহের জন্য ‘অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ নীতিমালা, ২০১৭’ অনুসারে ২০২১ সালে উৎপাদিত বোরো ধান-চাল সংগ্রহ নিশ্চিত করতে হবে। ব্যত্যয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কঠোর প্রশাসনিক ব্যবস্থা। খাদ্য গুদামগুলোতে কৃষকবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। কৃষক যেন কোনোক্রমেই হয়রানির শিকার না হন তা নিশ্চিত করতে হবে।

পরিপত্রে আরো বলা হয়েছে, গুদামে স্থান সংকুলান না হলে ‘চলাচল সূচি প্রণয়ন নীতিমালা, ২০০৮’ অনুসারে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক নিজ নিজ অধীক্ষেত্রে বিধি মোতাবেক স্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে চলাচল সূচি জারি করবেন।

ধান সংগ্রহ কার্যক্রমে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ও আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকগণের নিবিড় মনিটরিং অব্যাহত রাখতে হবে। প্রতিদিন বিকেল ৫টার মধ্যে সব আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক দফতর থেকে ধান-চাল সংগ্রহের তথ্য ও দৈনিক বাজারদর ই-মেইলে খাদ্য অধিদফতরের সংগ্রহ বিভাগে পাঠাতে হবে। কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিকতার সুবাদে যাতে কোনোক্রমেই সংগ্রহ কার্যক্রম বিলম্বিত না হয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে। বিদ্যমান করোনা (কোভিড-১৯) পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব কার্যক্রম নিতে হবে।

খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে মোট ১৮ লাখ টন ধান ও চাল কিনবে সরকার। এরমধ্যে মিলারদের কাছ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল, ৩৯ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন আতপ চাল এবং কৃষকদের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৬ লাখ টন ধান কেনা হবে। গত ২৮ এপ্রিল থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (৭ মে) থেকে শুরু হয়েছে চাল সংগ্রহ। বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত।

0 comments on “ধান-চাল সংগ্রহ সফলে সরকারি ১৩ নির্দেশনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *