Friday, 03 May, 2024

সর্বাধিক পঠিত

সাইনোসাইটিস কেন ও প্রতিরোধের উপায়


সাইনোসাইটিস কেন

লেখক: বিভাগীয় প্রধান, ইএনটি, সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ।

সাইনোসাইটিসের ব্যথা মূলত কোনো সাইনাস আক্রান্ত হয়েছে, তার ওপর অনেকাংশ নির্ভর করে। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, ম্যাক্সিলারি সাইনাসের ব্যথা ও ম্যাক্সিলারি সাইনাসের অবস্থানের ওপর, অর্থাৎ নাকের পাশে, গাল, দাঁত কিংবা মুখ বা মুখমন্ডলের আশপাশেও ব্যথা হয়ে থাকে। এ ধরনের মাথাব্যথার সঙ্গে সঙ্গে মাথার মধ্যে হালকা শূন্যতা অনুভূত হয়ে।

সাইনাস যখন আক্রান্ত হয়, তখন তার নিঃসৃত পুঁজজাতীয় পদার্থ নাকের মধ্যে এসে প্রদাহের সৃষ্টি করে। সাইনাস ফুলে অনেক সময় নাক বন্ধের কারণ হয়ে দেখা দিতে পারে। নাকের মধ্যে কোনো বাধা, যেমন- ডিএনএস বা নাকের মাংস বড় হয়ে যাওয়া সাইনোসাইটিসের কারণে হতে পারে।

আরো পড়ুন
কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন রক্ষার্থে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ

কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির উন্মুক্ত স্থান। প্রজনন ক্ষেত্র বাচানোর জন্য রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ২৫ এপ্রিল থেকে Read more

বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ

এবারের ২০২৪ সালের বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ রবিবার মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও Read more

সুতরাং এসব কারণ উদঘাটন সাইনোসাইটিস রোগের মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। তাই এগুলোর চিকিৎসা করালে সাইনোসাইটিস ভালো হয়ে যায়। সাইনোসাইটিসের প্রদাহজনিত কারণে নাক থেকে পুঁজ বা পুঁজজাতীয় পদার্থ বের হয়। এ উপসর্গ ছাড়াও শিশু-কিশোরদের সাইনোসাইটিসের বাড়তি কিছু উপসর্গ দেখা যায়।

বিশেষ করে তাদের চোখ ও চোখের পাতা ফোলা ফোলা থাকে, মাঝেমধ্যে নাক বন্ধ, মুখ হাঁ করে ঘুমানো, মুখ ও নাক থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়া, নাক ডাকা, অত্যধিক লালাঝরা, ঘন ঘন কাশি ইত্যাদি নিয়মিত হতে থাকে। প্রায়ই এমন অনেক রোগী দেখা যায় যারা সব সময়ই অস্বস্তি অনুভব করেন ।

মাথাব্যথা, ভারি আর নাক জ্বালাপোড়া করে কিন্তু জানেন না কেন? এ ধরনের রোগীর সাইনোসাইটিস হতে পারে। শতকরা ২৫ ভাগ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। আমাদের নাকের চারপাশের অস্থিগুলোর পাশে বাতাসপূর্ণ কুঠরি থাকে। এদের সাইনাস বলে।

সাইনাসের কাজ হলো মাথাকে হালকা রাখা, মাথাকে আঘাত থেকে রক্ষা করা, কণ্ঠস্বরকে সুরেলা রাখা, দাঁত ও চোয়াল গঠনে সহায়তা করা। যদি কোনো কারণে এ সাইনাসগুলোয় প্রদাহ সৃষ্টি হয়, তখন তাকে সাইনোসাইটিস বলে। সাইনোসাইটিস ব্যাকটেরিয়া-জনিত ইনফেকশন, অ্যালার্জি অথবা অটোইমিউন ডিজিজ ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে।

সাইনোসাইটিস প্রতিরোধ উপায়:

যেহেতু অ্যালার্জি, ঠান্ডা এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো সমস্যাগুলো থেকে সাইনোসাই-টিসের অবতরণ ঘটে, তাই এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, সাইনোসাইটিসে আক্রান্ত হওয়ার আগেই এসব সমস্যার সমাধান করা।

যদি অ্যালার্জি থাকে সেক্ষেত্রে জেনে নিন কি থেকে আপনার অ্যালার্জি হয়। ফলে নিজের স্বাস্থ্যকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। ধূমায়িত এবং দূষিত পরিবেশ পরিত্যাগ করে চলুন।

যদি আপনি ধূমপান করেন, তবে তা পরিত্যাগ করুন। ঘুমানোর সময় মাথা উঁচু রাখুন, যাতে সাইনাস নিজে থেকেই বেরিয়ে আসতে পারে।

0 comments on “সাইনোসাইটিস কেন ও প্রতিরোধের উপায়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *