Friday, 03 May, 2024

সর্বাধিক পঠিত

ভাদ্র মাসের কৃষি ব্যবস্থাপনা জেনে নিন: পর্ব-০২


ভাদ্র মাসে কৃষি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে আমাদের ভালোভাবে ধারণা নেয়া উচিত। তাই চলুন জেনে নেয়া যাক ভাদ্র মাসের কৃষি ব্যবস্থাপনা

তুলা চাষে ব্যবস্থাপনা

    আরো পড়ুন
    কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন রক্ষার্থে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ

    কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির উন্মুক্ত স্থান। প্রজনন ক্ষেত্র বাচানোর জন্য রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ২৫ এপ্রিল থেকে Read more

    বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ

    এবারের ২০২৪ সালের বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ রবিবার মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও Read more

  • ভাদ্র মাসের প্রথম দিকেই শেষ করতে হবে তুলার বীজ বপন কাজ।
  • বৃষ্টির ফাঁকে জমির জো অবস্থা বুঝে ৩-৪টি চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে। এতে বিঘাপ্রতি বপন করতে হয় প্রায় ২ কেজি তুলা বীজ।
  • প্রতি লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ৬০ থেকে ৯০ সেন্টিমিটার  হতে হবে। বীজ থেকে বীজের দূরত্ব রাখতে হয় ৩০ থেকে ৪৫ সেন্টিমিটার।
  • খুব সীমিত সময়ে তুলার বীজ বপন করতে হয়। তাই সময় না থাকলে জমি চাষ না দিয়ে জমি আগাছামুক্ত করে ডিবলিং পদ্ধতিতে বীজ বপন করা যায়।
  • বীজ গজানোর পর সারির মাঝখানের মাটি কোদাল দিয়ে আলগা করে দিতে হবে।
  • সমতল এলাকার জন্য সিবি-৯, সিবি-১২, হীরা হাইব্রিড রূপালী-১, ডিএম-২, ডিএম-৩ অথবা শুভ্র জাতের চাষ করা যায়। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে পাহাড়ি তুলা-১ এবং পাহাড়ি তুলা-২ নামে উচ্চফলনশীল জাতের তুলা চাষ করা যায়।

শাকসবজি চাষে ব্যবস্থাপনা

  • ভাদ্র মাসে বপন করা যায় লাউ ও শিমের বীজ। এজন্য মাদা বা গর্ত তৈরি করতে হবে ৪-৫ মিটার দূরে দূরে ৭৫ সেমি. চওড়া এবং ৬০ সেমি. গভীর করে।
  • প্রতি মাদায় প্রয়োগ করতে হবে ২০ কেজি গোবর, ২০০ গ্রাম টিএসপি এবং ৭৫ গ্রাম এমওপি সার। মাদা তৈরি হলে প্রতি মাদায় ৪-৫টি বীজ বুনে দিতে হবে। চারা গজানোর ২-৩ সপ্তাহ পর দুই-তিন কিস্তিতে সার প্রয়োগ করতে হবে। ২৫০ গ্রাম ইউরিয়া ও ৭৫ গ্রাম এমওপি সার উপরিপ্রয়োগ করতে হবে।
  • আগাম শীতকালীন সবজি চারা এ সময় উৎপাদনের কাজ শুরু করা যেতে পারে।
  • এমন জায়গা নির্বাচন করতে হবে সবজি চারা উৎপাদনের জন্য উঁচু এবং আলো বাতাস লাগে।
  • এক মিটার চওড়া এবং জমির দৈর্ঘ্য অনুসারে লম্বা করে বীজতলা করতে হবে। সেখানে উন্নত জাতের ফুলকপি, বাঁধাকপি, বেগুন, টমেটো এসবের বীজ করা যেতে পারে।

বৃক্ষ জাতীয় গাছপালা

  • ভাদ্র মাসেও রোপণ করা যায় ফলদ বৃক্ষ এবং ঔষধি গাছের চারা।
  • বৃষ্টিতে মৌসুমের রোপিত চারা নষ্ট হলে সেখানে শূন্যস্থানগুলো পূরণ করতে হবে নতুন চারা লাগিয়ে।
  • এছাড়া এ বছর রোপণ করা চারার গোড়ায় মাটি দিতে হয়। চারার আতিরিক্ত এবং রোগাক্রান্ত ডাল ছেঁটে দিতে হবে। এতে বেড়া ও খুঁটি দেয়া, মরা চারা তুলে নতুন চারা রোপণসহ অন্যান্য পরিচর্যা করতে হবে।
  • ভাদ্র মাসে ছেটে দিতে হয় আম, কাঁঠাল, লিচু গাছ। ফলের বোঁটা, গাছের ছোট ডালপালা, রোগাক্রান্ত অংশ ছেটে দিলে পরের বছর বেশি করে ফল ধরে। ফল গাছে রোগও কম হয় অনেক।

0 comments on “ভাদ্র মাসের কৃষি ব্যবস্থাপনা জেনে নিন: পর্ব-০২

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *