Thursday, 28 March, 2024

সর্বাধিক পঠিত

বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা


বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে শঙ্কিত ঠাকুরগাঁও জেলার চাষিরা

ঠাকুরগাঁওয়ের কৃষকরা তীব্র শীত, ঘন কুয়াশা আর শৈত্যপ্রবাহের কারণে বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে কৃষকরা শঙ্কিত। তীব্র শীতের কারণে বোরো ধানের বীজতলা থাকা গাছগুলো ফ্যাকাশে হয়ে গেছে।

চারাগুলো কোল্ড ইনজুরিতে আক্রান্ত হচ্ছে

কৃষকরা জানান, ঘন কুয়াশার কবলে পড়ে ফ্যাকাশে রং ধারণ করেছে বোরোর বীজতলার গাছগুলো।

আরো পড়ুন
করলার লাভজনক চাষ পদ্ধতি
লাভজনক করলা চাষ

করলার লাভজনক চাষ চাষ পদ্ধতি করলার ইংরেজি নাম Gourd, আমাদের দেশে করলা গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও বর্তমানে করলা বার মাসই বাজারে Read more

বাংলাদেশে কেন বাড়ছে না ভেনামি চিংড়ির বানিজ্যিক চাষ

বাগদা চিংড়ির (ব্ল্যাক টাইগার) চেয়ে ভেনামির উৎপাদন খরচ প্রায় অর্ধেক। তারপরও বাংলাদেশে কেন বাড়ছে না ভেনামি চিংড়ির বানিজ্যিক চাষ ? Read more

চারাগুলো কোল্ড ইনজুরিসহ বিভিন্ন ধরণের রোগে আক্রান্ত হয়ে হলুদ হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে।

এতে কৃষকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।

কৃষক আবুল হোসেন জানান যে, ভালো ফসল পেতে ভালো বীজ বা ভালো মানের চারা গাছের বিকল্প নেই।

সে কারণে বোরো চাষের জন্য বীজতলা তৈরি করে পরিচর্যার কোন কমতি রাখছেন না তিনি।

তিনি আরও বলেন চারা গাছ একটু বড় হতে না হতেই বোরো ধানের বীজতলা ঘন কুয়াশার কবলে পড়েছে।

এতে ফ্যাকাশে রং ধারণ করেছে বীজতলার চারা গাছ।

সেই সাথে দেখা দিয়েছে কোল্ড ইনজুরিসহ বিভিন্ন রোগ।

আর তাতে আক্রান্ত হয়ে চারা দিন দিন হলুদ হয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে বলে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এই চাষি।

শীতে দেখা দিচ্ছে শ্রমিক সংকটও

কৃষক আতাউর রহমান গনি জানান, বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হচ্ছে এখন।

আর এতে বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে তার।

শীতের কারণে শ্রমিক সংকট নিয়েও খুব দুর্ভোগে পড়েছেন বলে জানান তিনি।

কৃষি অধিদপ্তরের তথ্য অনুসারে, ঠাকুরগাঁও জেলাতে এবার বোরো আবাদের জন্য ৫ হাজার ৯১৪ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে বীজতলা বপন করা হয়েছে ২ হাজার ৭৯২ হেক্টর জমিতে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবু হোসেন।

তিনি বলেন, শীতের কারণে বোরো ধানের চারার ক্ষতি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে তারা কৃষকদের পলিথিন দিয়ে চারা ঢেকে রাখার জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।

সেই সাথে জিপসাম সার প্রয়োগ করতে বলছেন তারা।

একই সাথে বীজতলায় প্রতিদিন পুরোনো পানি অপসারণ করে নতুন পানি দেবার জন্যও বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।

তিনি দাবি করেন বিগত কয়েক দিন ধরে কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহ হলেও এখন পর্যন্ত খুব বেশি ক্ষতি হয়নি বলে।

তবে শীত ও কুয়াশার তীব্রতা বাড়লে পরিস্থিতি অনুকূলের বাইরে চলে যেতে পারে।

এমন আশঙ্কা একেবারে উড়িয়ে দিচ্ছেন না আবু হোসেন।

তিনি আশা করেন এই আবহাওয়া খুব দ্রুতই ঠিক হয়ে যাবে।

এবং অচিরেই এই ধানের রোপণ কাজ সম্পন্ন হবে।

0 comments on “বোরো ধানের বীজতলা নিয়ে শঙ্কিত কৃষকরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *