Friday, 19 April, 2024

সর্বাধিক পঠিত

মৌলভীবাজার জেলায় পানিতে দূর্ভোগে ১৫ হাজার মানুষ


তিন বছর ধরে মৌলভীবাজার জেলায় পানিতে কষ্ট করছেন এখানকার মানুষ। জেলার সদর উপজেলার খলিলপুর ইউনিয়নের আটটি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ জলাবদ্ধতার দুর্ভোগে পড়েছেন। ইউনিয়ন সংলগ্ন নদীর একপ্রান্তে ভরাট থাকার কারণে পানি যাবার রাস্তা নেই। তাই গত তিন বছর ধরে এ দূর্ভোগ সইছেন এখানকার মানুষ। যার দরুন প্রায় ৫০০ একর জমিতে এখন কোন ফসল ফলানো সম্ভব হচ্ছে না।

শাখা বরাক নামে একটি নদের শেষ প্রান্ত ভরাট হয়ে গেছে।
এই জলাবদ্ধতা সে কারণেই তৈরি হচ্ছে।

আরো পড়ুন
ইলিশ দিয়ে প্রথমবারের মত কৌটাজাতকৃত খাদ্য তৈরির পদ্ধতি উদ্ভাবন
ইলিশের কৌটাজাতকৃত খাদ্য তৈরি

ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ। এই মাছ স্বাদে অতুলনীয় ও গন্ধের জন্য দেশ ও বিদেশে রয়েছে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তা। এই অতুলনীয় Read more

করলার লাভজনক চাষ পদ্ধতি
লাভজনক করলা চাষ

করলার লাভজনক চাষ চাষ পদ্ধতি করলার ইংরেজি নাম Gourd, আমাদের দেশে করলা গ্রীষ্মকালীন সবজি হলেও বর্তমানে করলা বার মাসই বাজারে Read more

গত রোববার সদর উপজেলার চানপুর গ্রামের সব জায়গায় ঘুরে ঘুরে দেখা যায় এ জলাবদ্ধতা।

ফসলের মাঠজুড়ে ঢেউ খেলছে বৃষ্টির পানি।

অথচ কিছুদিন আগেও এই মাঠে বোনা আমনের সবুজ চারা বাতাসে দোল খাচ্ছিল।
এখন সে জমিই পানির নিচে তলিয়ে আছে।

পাঁচ-ছয় দিন ধরে শুরু হয়েছে জলাবদ্ধতা।

পানির ঢেউ বাড়ির উঠানে এসে আছড়ে পড়ছে।

বিভিন্ন স্থানে ডুবে আছে রাস্তা ঘাট।

কয়েক ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে চানপুর গ্রামের কবরস্থানটিও।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও স্থানীয় সূত্রে খোজ নেয়া হয়।
জানা গেছে, কুশিয়ারা নদীর একটি শাখা হিসেবে খলিলপুর ইউনিয়নের ভেতর দিয়ে বরাক নদ প্রবাহিত হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ২০১৯ সালে শাখা বরাকের প্রায় আট কিলোমিটার খনন করেছিল।

কিন্তু পরবর্তীতে নদের ভাটি অংশটুকু আর খনন করা হয়নি।

ভাটির অংশটুকু পড়েছে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায়।

এতে করে বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হতে পারে না।

যার কারণে পুরো এলাকায় তৈরি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

বৃষ্টি হলেই খলিলপুর ইউনিয়নের ফতেপুর, আলাপুর, বাঘারাই, চানপুর, মুকিমপুর, চিশনপুর, খঞ্চনপুর, কাটারাইসহ আশপাশের গ্রামের সকল ফসলের মাঠ তলিয়ে যায়।
এতে এলাকার প্রায় ১৫ হাজার মানুষ জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগে পড়েছেন।

এলাকার চানপুর, খঞ্চনপুর ও মুকিমপুরের মাঠে এই আট গ্রামের মানুষের ফসলের চাষ হয়।

জলাবদ্ধতার কারণে অন্তত ৫০০ একর জমির ফসল হচ্ছে না বলে জানায় সূত্র।

প্রতিবছরই বৃষ্টি শুরু হলে স্থানীয় চাষিরা আমনের বীজ বোনা শুরু করেন।

কিন্তু জমা পানি আশ্বিন-কার্তিক মাসে নামে।

তত দিনে ফুরিয়ে যায় ফসল বোনার সময়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান এই জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে বেশ কটি বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে।

তারা জানান শাখা বরাকের নবীগঞ্জ অংশ খনন করা জরুরি।
সেটি সম্ভব না হলে সরকারবাজার-গোপলারবাজার সড়কের ফোটারচর-ঝিটকা এলাকায় একটি সেতু করে দেয়া যায়।
ওই সেতুর ভাটির দিকটি খনন করা হলে পানি বিজনা নদী দিয়ে বেরিয়ে যাবে।
সরকারবাজার এলাকায় কামারকালিতে একটি জলকপাট অবস্থিত।

এই কপাট খুলে পানি বেরিয়ে বড় হাওর দিয়ে বিজনা নদীতে স্থানান্তরিত হতে পারে।

তা ছাড়া গুদির খাল, বড় খাল, বাঘাইর খালসহ এলাকার ভরাট হওয়া খালগুলো খনন করলে জলাবদ্ধতা থাকবে না বলেও স্থানীয়রা জানান।

খলিলপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু মিয়া চৌধুরী।

তিনি বলেন, চেয়ারম্যান হওয়ার আগে থেকেই এখানকার মানুষ জলাবদ্ধতা নিয়ে মিছিল, মিটিং করছেন।

পাউবো মৌলভীবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখতারুজ্জামান।
তিনি বলেন, শাখা বরাকের জেলার অংশ খনন সম্পন্ন হয়েছে।
এখন হবিগঞ্জ অংশটুকু খনন করলে জলাবদ্ধতার সমস্যা থাকবে না।’

0 comments on “মৌলভীবাজার জেলায় পানিতে দূর্ভোগে ১৫ হাজার মানুষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *