Monday, 29 April, 2024

সর্বাধিক পঠিত

লালমনিরহাটে ভুট্টা চাষ বেড়েছে, কমে গেছে ধানের আবাদ


লালমনিরহাটে ভুট্টা চাষ বেড়েছে চলতি বছর

লালমনিরহাটে ভুট্টা চাষ বেড়েছে এবছর। জেলার পাটগ্রাম উপজেলায় এবার বোরো ধানের চাষ কিছুটা কমে গেছে। কৃষকেরা জানান, বোরো ধান চাষে সেচ খরচ হয় বেশি। বাজারদরে তাতে উৎপাদন খরচই ওঠে না। কিন্তু ভুট্টার উৎপাদন খরচ যেমন কম হয় তেমন ফলনও বেশি হয়। তাই এ উপজেলার কৃষকেরা চলতি মৌসুমে ভুট্টা আবাদে ঝুঁকেছেন। এমন অবস্থা জেলার সকল স্থানেই। তাই লালমনিরহাটে ভুট্টা চাষ বেড়েছে এবছর।

ভূট্টার চাষ এবার লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় চাষযোগ্য আবাদি জমি রয়েছে ২১ হাজার ২৬০ হেক্টর।

আরো পড়ুন
কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন রক্ষার্থে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ

কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির উন্মুক্ত স্থান। প্রজনন ক্ষেত্র বাচানোর জন্য রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ২৫ এপ্রিল থেকে Read more

বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ

এবারের ২০২৪ সালের বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ রবিবার মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও Read more

এর মধ্যে এবার বোরো ধান আবাদ হয়েছে ৫ হাজার হেক্টর জমিতে।

অন্যদিকে ১২ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমিতে নির্ধারণ করা হয়েছে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা।

উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা অবশ্য জানান, এবার বোরো ধান চাষ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও কম পরিমাণে হয়েছে।

তারা আরও জানান ধান চাষের যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা প্রতিবছরই কমে যাচ্ছে।

সেদিক থেকে ভুট্টা চাষের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

এলাকার কৃষকরা জানান, বোরো ধান চাষে পানি সেচ খরচ হয়ে যায় বেশি।

অন্যদিকে ভুট্টার বাজার দর এখন অনেক ভালো।

সেকারণে কৃষকেরা বোরো ধানের বীজতলা তৈরি করার পরেও ভুট্টার চাষ করছেন।

গতকাল শুক্র ও গত বৃহস্পতিবার ঘুরে ঘুরে ভূট্টার খেত দেখা যায়।

উপজেলার জগতবেড়, পাটগ্রাম কুচলিবাড়ী, বুড়িমারী ও জোংড়া ইউনিয়নের ২০টি গ্রামে ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

এসব অঞ্চলের প্রায় তিন ভাগ খেতে কৃষকেরা ভুট্টার বীজ বপন করেছেন।

আর বাকি এক ভাগ খেত তামাক ও ফাঁকা জমিতে বোরোসহ অন্য ফসল চাষের জন্য রাখা হয়েছে।

তবে উপজেলার ছয়টি গ্রামের কোথাও বোরো বীজতলা লাগানোই হয়নি।

পাটগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুর গফ্ফার।

তিনি বলেন, এ উপজেলার মাটির ধরণ মূলত বেলে দোআঁশ ধরণের।

তাই বোরো ধানের চাষে সেচের পানি অনেক বেশিই লাগে।

সেই পানি এখানকার মাটিতে এক দিনের বেশি জমে থাকে না।

আর এই কারণেই এ মাটিতে সেচের খরচ অনেক বেশি হয়।

যার কারণে কৃষকদের মাঝে বোরো চাষের আগ্রহ অনেক কমে গেছে।

তা ছাড়া ভুট্টা চাষে উৎপাদন খরচ অনেক কম, উৎপাদন বেশি, আবার এর বাজারদরও অনেক ভালো।

0 comments on “লালমনিরহাটে ভুট্টা চাষ বেড়েছে, কমে গেছে ধানের আবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *