Thursday, 02 May, 2024

সর্বাধিক পঠিত

উন্নত যোগাযোগের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি পণ্য বিক্রয়


উত্তরের জনপদ গাইবান্ধার চরগুলোতে এ বছর ব্যাপক ফলন হয়েছে। কিন্তু উন্নত হয়নি এখানকার যোগাযোগ ব্যাবস্থার। উন্নত যোগাযোগের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি পণ্য বিক্রয়। সঠিক দামে বিক্রি করতে পারেন না এখানকার কৃষকরা। প্রায় সকল ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত এখানকার কৃষকেরা। চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষগুলো একমাত্র নৌকায় যোগাযোগ করে থাকেন।

তবুও চরাঞ্চলের এই দরিদ্র মানুষগুলো কখনোই থেমে থাকে না।

আরো পড়ুন
কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন রক্ষার্থে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ

কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির উন্মুক্ত স্থান। প্রজনন ক্ষেত্র বাচানোর জন্য রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ২৫ এপ্রিল থেকে Read more

বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ

এবারের ২০২৪ সালের বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ রবিবার মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও Read more

বন্যার সময় সব কিছু তলিয়ে গেলেও খড়ায় নদী শুকিয়ে যায়।

তখন দুই থেকে তিন মাইল হেঁটে নৌ ঘাটে যেতে হয়।

এই মানুষদের সেসময় কৃষিজাত পণ্য মাথায় করে নিয়ে হেঁটে আসতে হয়।

সেই সময় এই সকল পণ্য নৌকায় করে, পরে অটো বা ভ্যানে বিভিন্ন হাট বাজারে নিতে হয়।

কিন্তু পণ্যের যে দাম পান তাতে পরিবহন খরচ পুষিয়ে ন্যায্যমূল্য তারা পান না।

তাছাড়া কোন রকম নির্ধারিত ক্রয়-বিক্রয় কেন্দ্র নেই।

এতে বারো মাসে তেরো ফসল ফলিয়েও শ্রমের ন্যায্য মূল্য পান না এ অঞ্চলের কৃষকেরা।

এ অঞ্চলে কোনো যানবাহন নেই।

হঠাৎ কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লেই বিপদ।

চিকিৎসা নিতে গিয়ে কৃষকদের পড়তে হয় চরম বিপাকে।

তবে নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য সরকারি উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।

উপজেলা প্রশাসন জানায় পরীক্ষামূলকভাবে ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ প্রকল্পের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, জেলায় নদী ভাঙনের প্রভাব খুব।

ব্রহ্মপুত্র নদ, তিস্তা ও যমুনার ভাঙনের কবলে পড়ে প্রতিবছর।

যার প্রভাবেই জেলায় ছোট-বড় ১৬৫টি চর-দ্বীপচর জেগে উঠেছে।

জেলার গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার চরাঞ্চলে জেগে উঠেছে এসকল চর।

বর্তমানে এসব চরে প্রায় ৪ লাখ মানুষ বসবাস করে। বসবাসরত এসব মানুষের একমাত্র পেশা হচ্ছে কৃষি।

স্থানীয় একজন মুদি দোকানী মোসলেম আলী।

তার সাথে কথা বলে জানা যায় তারা প্রচন্ড কষ্টে তাদের ব্যাবসা সহ অন্যান্য কাজকর্ম করছেন।

অপর এক বাসিন্দা রহমান মিয়া জানান, বন্যার সময় কিছু সুবিধা পেলেও শুষ্ক মৌসুমে অসুবিধায় পড়েন তারা।

এদিকে সচেতন মহল বলছে, ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’ প্রকল্পটির উদ্যোগ চরাঞ্চলের প্রয়োগ করা জরুরী।

তাহলে চরের মানুষের উৎপাদিত ফসল সহজেই বিক্রি করতে পারবে।

তাহলে কৃষকরা অন্তত ন্যায্য মূল্য পাবে।

শুধু তাই নয়।

এতে স্বাস্থ্যসেবাসহ সকল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত হবে চরবাসীর।

এ ব্যাপারে কথা হয় ফুলছড়ি উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এর সাথে।

তিনি বলেন, সরকার পরীক্ষামূলকভাবে চর উন্নয়ন বোর্ড নামের একটি প্রকল্প গ্রহণ করেছে।

যাতে করে চরে উৎপাদিত ফসল কৃষকরা সহজেই বিক্রি করতে পারে।

এছাড়াও সরকার ‘আমার গ্রাম, আমার শহর’নামে আরও একটি প্রকল্প গ্রহন করেছে।

এতে কৃষি পণ্য ক্রয়-বিক্রয় কেন্দ্রসহ সকল নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করা হবে।

‘আমার গ্রাম, আমার শহরে’র উদ্যেশ্য মূলত গ্রামীণ জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন হলেও অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করছেন এর স্থায়ীত্ব নিয়ে।

এর আগে ১৯৯৯ সালে সরকার ‘ঘরে ফেরা কর্মসূচি’ হাতে নেয়।

শহরের বিভিন্ন স্থানে বসবাসকারী অবহেলিত, অসহায় এবং ভাগ্য বিড়ম্বিত ছিন্নমূল মানুষদের গ্রামের আপন ঠিকানায় ফিরিয়ে দেওয়াই ছিল এর মূল উদ্দেশ্য।

কিন্তু অজানা রহস্যজনক কোন কারণে বন্ধ হয়ে যায় সেই ‘ঘরে ফেরা কর্মসূচি’।

0 comments on “উন্নত যোগাযোগের অভাবে ব্যাহত হচ্ছে কৃষি পণ্য বিক্রয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *