Sunday, 19 May, 2024

সর্বাধিক পঠিত

রাজশাহীতে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা


মুকুলে মুকুলে ভরে গেছে আমবাগান। মুকুলের ম-ম গন্ধ চারদিক ছেয়ে গেছে। স্বর্ণালী মুকুলের ভারে প্রতিটি আম গাছের মাথা নুয়ে পড়ার উপক্রম। মৌমাছিরাও ব্যস্ত সময় পার করছে মধু আহরণে। মুকুলের সমারোহ দেখে অত্যন্ত প্রফুল্ল রাজশাহীর আম চাষিরা।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর।

তবে ঘন কুয়াশায় আমের মুকুলের ক্ষতির আশংকা করছেন চাষীরা। রাজশাহী ফল গবেষণা ইনস্টিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. জিএমএম বারি ডলার জানিয়েছেন, আমের মুকুলের সঠিক পরিচর্যার করলে রোগব্যাধিসহ অন্যান্য সমস্যা কাটিয়ে ওঠার সম্ভব হবে। তিনি বলেন, কুয়াশা খুব বেশি হলে ‘পাউডারি মিলডিউ’ নামে রোগ হতে পারে।

আরো পড়ুন
বায়োফ্লকের পানি তৈরি করার পদ্ধতি বা নিয়ম
বায়োফ্লক ট্যাংক

বায়োফ্লকে পানি তৈরি বায়োফ্লক মাছ চাষের অন্যতম প্রধান কাজ। বায়োফ্লক শুধুমাত্র ফ্লক তৈরি করতে না পেরে অনেকে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। Read more

চলমান তাপ প্রবাহে হাঁস-মুরগি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা
চলমান তাপ প্রবাহে হাঁস-মুরগি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা

তীব্র তাপপ্রবাহ হাঁস- মুরগি ও গবাদিপ্রাণির দেহে নানা ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পীড়ন (স্ট্রেস) তৈরি করে, ফলে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপ্রাণির Read more

এ রোগের কারণে প্রথমে মুকুল সাদাসাদা হয়ে পড়ে কালো বর্ণ ধারণ করে ঝরে পড়ে। দীর্ঘদিন কুয়াশা অথবা হপার পোকার আক্রমণে মুকুলে সটিবল বা কালো আস্তরণ পড়ে থাকে। এ থেকে রোধ পেতে সালফার জাতীয় ফাংগিসাইড যেমন- থিউবিট, কমোলাস নামের ওষুধ প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম মিশিয়ে ব্যবহার করলে তা থেকে রক্ষা মিলবে।’

নগরীর লক্ষীপুর এলাকার আম বাগানের মালিক নাজমুল ইসলাম কাজল বলছেন, ‘এ বছর আমের মুকুলেই গাছ যেনো নুয়ে পড়েছে। তাই পূর্ব প্রস্তুতি ও পরিচর্যা নিচ্ছি কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার ও ফল গবেষণার কৃষিবিদদের সহায়তায়।

গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের ওয়ালিউর রহমান জানান, ‘আমের মুকুল তো ভালোই ধরেছে। গুটিও এসেছে অনেক গাছে। কিন্তু ঝড়-বৃষ্টি হলেই তোহ বিপদের সীমা থাকবে না। লাভের আশা ঝড়-বৃষ্টির পানিতেই ভেসে যাবে।’

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক ও কৃষিবিদ উম্মে সালমা বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে রাজশাহীতে ভোরে ঘন কুয়াশা হলেও এতে খুব একটা সমস্যা হবে না। কারণ, গাছের ঠিকমতন পরিচর্যা নিলে মিলডডিউ ও বিভিন্ন ভাইরাসজনিত আক্রমণ থেকে রক্ষা সম্ভব।

তাছাড়া বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে। তাছাড়াও কৃষি সম্প্রসারণের মাধ্যমে সরকারও কৃষকদের যথেষ্ট সহযোগিতা করছে। তাই আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে পূর্বের চাইতে অধিক লাভের মুখ দেখবেন আম চাষিরা।’

0 comments on “রাজশাহীতে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *