Sunday, 09 February, 2025

সর্বাধিক পঠিত

পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগ প্রতিরোধে করণীয়


পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগ

পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগ পেঁয়াজ চাষিদের জন্য একটি আতংক। এ রোগের ফলে পেঁয়াজের ফলন কম হয়। এক ক্ষেতে আক্রান্ত হলে পাশের ক্ষেতের জন্যেও হুমকি। কিভাবে পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগ প্রতিরোধ করনীয় যায় সে বিষয়ে এখনকার আলোচনা।

রোগের কারণঃ

অলটারনারিয়া পোরি (Aternaria Porri) ও স্টেমফাইলিয়াম বট্রাওসাম (Stemphylium botryosum) নামক ছত্রাক।

আরো পড়ুন
কুকুরের ভ্যাকসিন (Dog Vaccine) দেওয়ার নিয়ম
গোল্ডেন রিট্রিভার (Golden Retriever)

কুকুরকে সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখতে ভ্যাকসিন দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কুকুর বিভিন্ন ভাইরাসজনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে, যেমন জলাতঙ্ক, ডিস্টেম্পার, প্যারভো Read more

পোষা কুকুর (Pet Dog) পালনের পদ্ধতি

কুকুর পালতে চাইলে তাদের সঠিক যত্ন, খাবার, স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও প্রশিক্ষণের দিকে মনোযোগ দেওয়া জরুরি। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে কুকুরের Read more

রোগের বিস্তারঃ

আক্রান্ত বীজ, বায়ু ও গাছের পরিত্যক্ত অংশের মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে। অতিরিক্ত শিশির, আর্দ্র আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাত হলে এ রোগ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। স্পোর বায়ুর মাধ্যমে এক গাছ হতে অন্য গাছে ছড়ায়।

পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগের লক্ষণঃ

১। পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগে পাতা ও বীজবাহী কান্ডে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানি ভেজা বাদামী বা হলুদ রং এর দাগের সৃষ্টি হয়।

২। দাগগুলি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে বড় দাগে পরিণত হয়।

৩। দাগের মধ্যবর্তী অংশ প্রথমে লালচে বাদামী ও পরবর্তীতে কালো বর্ণ ধারণ করে এবং দাগের কিনারা বেগুনী বর্ণ ধারণ করে।

৪। আক্রান্ত পাতা উপরের দিক হতে ক্রমান্বয়ে মরে যেতে থাকে। ব্যাপকভাবে আক্রান্ত পাতা ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে হলদে হয়ে মরে যায়।

৫। বীজ বাহী কান্ডের গোড়ায় আক্রান্ত স্থানের দাগ বৃদ্ধি পেয়ে হঠাৎ ভেঙ্গে পড়ে।

৬। এ রোগের আক্রমণের ফলে বীজ অপুষ্ট হয় এবং ফলন হ্রাস পায়।

৭। রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করলে সুস্থ বীজ উৎপাদন সম্ভবপর হয় না।

পেয়াজের পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগ

পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগের প্রতিকারঃ

১। রোগ সহনশীল প্রতিরোধী জাত ব্যবহার করতে হবে।

২। সুস্থ, নীরোগ বীজ ও চারা ব্যবহার করতে হবে।

৩। আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ পুড়ে ফেলতে হবে।

৪। প্রোভেক্স বা রোভরাল ছত্রাকনাশক প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ শোধন করে বপন করতে হবে।

৫। পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগ দেখা দিলে ইপ্রোডিয়ন গ্রুপের ছত্রাক নাশক রোভরাল/ কিউরেট/ ইভারাল/ রোভানন ৫০/৫০ ডব্লিউপি প্রতিলিটার পানিতে ২ গ্রাম ও রিডোমিল গোল্ড প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর পর্যায়ক্রমে ৩-৪ বার গাছে স্প্রে করতে হবে।

0 comments on “পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগ প্রতিরোধে করণীয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আর্কাইভ