Monday, 14 July, 2025

সর্বাধিক পঠিত

পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগ প্রতিরোধে করণীয়


পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগ

পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগ পেঁয়াজ চাষিদের জন্য একটি আতংক। এ রোগের ফলে পেঁয়াজের ফলন কম হয়। এক ক্ষেতে আক্রান্ত হলে পাশের ক্ষেতের জন্যেও হুমকি। কিভাবে পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগ প্রতিরোধ করনীয় যায় সে বিষয়ে এখনকার আলোচনা।

রোগের কারণঃ

অলটারনারিয়া পোরি (Aternaria Porri) ও স্টেমফাইলিয়াম বট্রাওসাম (Stemphylium botryosum) নামক ছত্রাক।

আরো পড়ুন
লবণাক্ততা সহনশীলতার প্রথম গমের জাত উদ্ভাবন করলো গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

দেশের কৃষিক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী সাফল্য অর্জন করেছে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (গাকৃবি)। বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগ উদ্ভাবন করেছে উচ্চ লবণসহিষ্ণু গমের নতুন Read more

উদ্ভাবনী বিশ্ববিদ্যালয়ের র‍্যাঙ্কিংয়ে ফের শীর্ষে গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

গাজীপুর কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (গাকৃবি) আবারও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তাদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। 'University Ranking by Innovation (URI) ২০২৫'-এর 'টেকনোলজি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট Read more

রোগের বিস্তারঃ

আক্রান্ত বীজ, বায়ু ও গাছের পরিত্যক্ত অংশের মাধ্যমে এ রোগ বিস্তার লাভ করে। অতিরিক্ত শিশির, আর্দ্র আবহাওয়া ও বৃষ্টিপাত হলে এ রোগ দ্রুত বৃদ্ধি পায়। স্পোর বায়ুর মাধ্যমে এক গাছ হতে অন্য গাছে ছড়ায়।

পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগের লক্ষণঃ

১। পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগে পাতা ও বীজবাহী কান্ডে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পানি ভেজা বাদামী বা হলুদ রং এর দাগের সৃষ্টি হয়।

২। দাগগুলি ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পেয়ে বড় দাগে পরিণত হয়।

৩। দাগের মধ্যবর্তী অংশ প্রথমে লালচে বাদামী ও পরবর্তীতে কালো বর্ণ ধারণ করে এবং দাগের কিনারা বেগুনী বর্ণ ধারণ করে।

৪। আক্রান্ত পাতা উপরের দিক হতে ক্রমান্বয়ে মরে যেতে থাকে। ব্যাপকভাবে আক্রান্ত পাতা ৩-৪ সপ্তাহের মধ্যে হলদে হয়ে মরে যায়।

৫। বীজ বাহী কান্ডের গোড়ায় আক্রান্ত স্থানের দাগ বৃদ্ধি পেয়ে হঠাৎ ভেঙ্গে পড়ে।

৬। এ রোগের আক্রমণের ফলে বীজ অপুষ্ট হয় এবং ফলন হ্রাস পায়।

৭। রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করলে সুস্থ বীজ উৎপাদন সম্ভবপর হয় না।

পেয়াজের পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগ

পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগের প্রতিকারঃ

১। রোগ সহনশীল প্রতিরোধী জাত ব্যবহার করতে হবে।

২। সুস্থ, নীরোগ বীজ ও চারা ব্যবহার করতে হবে।

৩। আক্রান্ত গাছের পরিত্যক্ত অংশ পুড়ে ফেলতে হবে।

৪। প্রোভেক্স বা রোভরাল ছত্রাকনাশক প্রতি কেজি বীজে ২.৫ গ্রাম হারে মিশিয়ে বীজ শোধন করে বপন করতে হবে।

৫। পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগ দেখা দিলে ইপ্রোডিয়ন গ্রুপের ছত্রাক নাশক রোভরাল/ কিউরেট/ ইভারাল/ রোভানন ৫০/৫০ ডব্লিউপি প্রতিলিটার পানিতে ২ গ্রাম ও রিডোমিল গোল্ড প্রতি লিটার পানিতে ২ গ্রাম হারে মিশিয়ে ১০-১২ দিন পর পর পর্যায়ক্রমে ৩-৪ বার গাছে স্প্রে করতে হবে।

0 comments on “পেঁয়াজের পার্পল ব্লচ বা ব্লাইট রোগ প্রতিরোধে করণীয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ