Thursday, 09 May, 2024

সর্বাধিক পঠিত

নওগাঁ জেলায় পেয়ারা চাষ বাড়ছে ক্রমাগতই


পেয়ারা চাষ বাড়ছে নওগায়

দিন দিন পেয়ারা চাষ বাড়ছে নওগাঁ জেলায়। পেয়ারা চাষ বর্তমানে খুব লাভজনক। তাই এটি চাষে কৃষকদের মাঝে আগ্রহ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমনকি জমি বন্ধক নিয়েও পেয়ারা বাগান করেছেন কৃষকরা। তবে যে পরিমাণ পেয়ারা চাষ বাড়ছে কিন্তু সে পরিমাণ পেয়ারার বাগান নেই। যা রয়েছে তা স্থানীয় চাহিদা মেটানোর পরেও জেলার বাইরে পাঠানো সম্ভব হয় না। এমনটাই জানিয়েছেন কৃষকরা।

চাষিরা জমি বন্ধক নিয়েও পেয়ারা চাষ করছে

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পাওয়া তথ্য অনুসারে, জেলায় পেয়ারা বাগান রয়েছে ৪৪৭ হেক্টর জমিতে।

আরো পড়ুন
চলমান তাপ প্রবাহে হাঁস-মুরগি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা
চলমান তাপ প্রবাহে হাঁস-মুরগি ও প্রাণিসম্পদ ব্যবস্থাপনা

তীব্র তাপপ্রবাহ হাঁস- মুরগি ও গবাদিপ্রাণির দেহে নানা ধরনের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ পীড়ন (স্ট্রেস) তৈরি করে, ফলে হাঁস-মুরগি ও গবাদিপ্রাণির Read more

গাভীর জন্য PAG ভিত্তিক গর্ভাবস্থা সনাক্তকরণ নিয়ে ব্র্যাক এবং হেকেম (বাংলাদেশ) লিমিটেড এর চুক্তি স্বাক্ষরিত
BRAC AI enterprise & HAYCHEM BANGLADESH LIMITED

আজ ৬ মে ব্র্যাক কৃত্রিম প্রজনন প্রধান কার্যালয়, ৭৫ মহাখালী ঢাকায় ''গাভীর জন্য PAG ভিত্তিক গর্ভাবস্থা সনাক্তকরণ ল্যাবরেটরি টেস্ট" নিয়ে Read more

নওগাঁ সদর উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।

শুধু তাই নয় নিয়ামতপুরে ১১৮ হেক্টর, মান্দায় ২২ হেক্টর, মহাদেবপুরে ৩০ হেক্টর এবং ধামইরহাটে ৭০ হেক্টর জমিতে পেয়ারা চাষ করা হয়েছে।

একজন পেয়ারা চাষি আহাদ আলী জানান যে, বছরে ২০ হাজার টাকা বিঘা হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য জমি বন্ধক নিয়েছেন।

গত তিন বছর আগে বন্ধক নিয়ে জৈব ও রাসায়নিক সার দিয়ে জমি প্রস্তুত করে ৪৫০টি গাছ লাগান তিনি।

গাছ লাগানোর দেড় বছর পর থেকেই গাছে ফল আসা শুরু হয়েছে।

গত বছর সর্বোচ্চ ৩২০০ টাকা মণ বিক্রি করা হলেও এবছর ২২০০ টাকা মণ হিসেবে বিক্রি হচ্ছে।

এখন পর্যন্ত এ বাগান থেকে ১০ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছেন বলে তিনি জানান।

একই গ্রামের পেয়ারা চাষি ওমর ফারুক।

তিনি জানান যে, গত তিন বছর থেকে তিনি পেয়ারা চাষ করছেন।

২০ হাজার টাকা বিঘা হিসেবে দুই বিঘা জমিতে পাঁচ বছরের জন্য পেয়ারার বাগান করেছেন।

তার বাগানে ৫৫০টি গাছ রয়েছে বলে জানান ওমর ফারুক।

পোকার কারণে পেয়ারার ফলন ব্যহত হতে পারে, এমনকি দামও কমে যায়।

৮-১০ দিন পরপর গাছে কীটনাশক স্প্রে করতে হয়, যার দাম পড়ে ৭০০-৮০০ টাকা।

বর্তমানে প্রকারভেদে প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০-২২০০ টাকা হিসেবে।

কিন্তু পেয়ারার উৎপাদন বেশি হলে ৮০০-১০০০ টাকা প্রতি মণ বিক্রি হয়।

কৃষকরা জানান তারা যে পরিমাণ পেয়ারা উৎপাদন করেন তাতে জেলার চাহিদা মেটানো সম্ভব হয় না।

নওগাঁ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শামসুল ওয়াদুদ।

তিনি জানান, পেয়ারা মৌসুমী ফলের মধ্যে বেশ পুষ্টিকর ফল।

ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ এই ফল লাভজনক হওয়ায় এর আবাদ প্রতি বছরই বাড়ছে।

বাজারে এখন দামও ভালো পাওয়া যায় বিধায়, পেয়ারা চাষে চাষিদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

0 comments on “নওগাঁ জেলায় পেয়ারা চাষ বাড়ছে ক্রমাগতই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *