Wednesday, 01 May, 2024

সর্বাধিক পঠিত

শীতকালীন সবজির চারা বিক্রয় করে কৃষিজীবীদের ভাগ্য বদল


শীতকালীন সবজির চারা বিক্রয় করে ভাগ্য বদল করেছেন বহু কৃষক। নরসিংদীর শিবপুর অঞ্চলের কৃষকেরা করেছেন তাদের এই ভাগ্যবদল। তারা শীতকালীন সবজির চারা উৎপাদন ও বিক্রি করছেন। উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের কুন্দারপাড়া এলাকা এতে ব্যাপক পরিচিতি পেয়েছে ।

কিভাবে চারা উৎপাদন শুরু হল

নরসিংদীর স্থানীয় কৃষকরা একসময় সবজি চাষ করতেন মুন্সীগঞ্জ থেকে সবজির চারা ক্রয় করে। প্রায় ২০ বছর পূর্বে এখানকার কৃষকরা নিজেদের প্রয়োজনে চারা উৎপাদন শুর করেন। বর্তমানে চারা উৎপাদন করা হয় প্রায় ৩০ বিঘার জমির উপরে। এই চারার বাজার মূল্য ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।

আরো পড়ুন
কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন রক্ষার্থে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ

কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির উন্মুক্ত স্থান। প্রজনন ক্ষেত্র বাচানোর জন্য রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ২৫ এপ্রিল থেকে Read more

বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ

এবারের ২০২৪ সালের বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ রবিবার মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও Read more

কেউ কেউ লাখপতি হয়েছেন এই চারা বিক্রয় করে। মৌসুমের আষাঢ় মাস থেকে শুর হয় অঙ্কুরোদগম। এর মাধ্যমে চারা উৎপাদন করে বিক্রি চলে আশ্বিন মাসজুড়ে। সময়কালে একই পলিথিনে মোড়ানো সেড করে ৪-৫ বার পর্যন্ত বীজ অঙ্কুরোদগমের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করে বিক্রি করা যায়।

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের শিবপুর উপজেলার কুন্দারপাড়া বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় গেলে দেখা যায়, মাঠজুড়ে পলিথিনে মোড়ানো বীজতলা। চারা কেনার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে লোকজন আসছেন। বিক্রয়ের জন্য অনেক চাষি চারা তুলছেন । কেউ বীজতলার উপরের পলিথিন খুলে উন্মুক্ত করছেন, কেউবা আবার আগাছা পরিষ্কার করছেন।

শওকত আলী নার্সারির মালিক বলেন, বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি এ ব্যবসা করে আসছেন। সবজির চারা বিক্রি করে ভালো আছেন তিনি। দেড় বিঘা জমিতে অঙ্কুরোদগমের মাধ্যমে চারা উৎপাদন করেন তিনি। বিক্রি করে প্রতি বছর লাখ দুয়েক টাকা জমা করতে পারছেন বলে তিনি জানান।

তিনি আরও বলেন প্রায় ১৫০ জন কৃষক এখন ৩০ বিঘা জমির উপরে  চারা উৎপাদন করে।

কুন্দারপাড়া গ্রামের একজন কৃষক জানান, আগে মুন্সীগঞ্জ থেকে চারা এনে সবজি চাষ করা হত। এখন প্রতিবিঘা জমিতে ফুলকপির বীজ বপন করে চারা উৎপাদন পর্যন্ত এক লাখ টাকা ব্যয় হলেও প্রায় তিন লক্ষাধিক চারা উৎপাদন করা সম্ভব হয়। এতে আনুষঙ্গিক খরচ বাদেও দুই লাখ টাকার বেশি বিক্রি হয়।

শিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার সাথে এ বিষয়ে কথা্ হয়। কর্মকর্তা মোহাম্মদ বিন সাদেক জানান, কুন্দারপাড়া এলাকার ৮ হেক্টর জমিতে সবজির চারা উৎপাদিত হয়। একটি লাভজনক ব্যবসা সবজির নার্সারি । কৃষি অধিদপ্তর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিভিন্ন প্রযুক্তি ও চারার গুণগত মান বজায় রাখতে পরামর্শ দিয়ে থাকে।

0 comments on “শীতকালীন সবজির চারা বিক্রয় করে কৃষিজীবীদের ভাগ্য বদল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *