Friday, 03 May, 2024

সর্বাধিক পঠিত

কাঁচা পাট রপ্তানিকারকরা সংকটে, আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন


জৌলুশ হারিয়েছে সোনালি আঁশ খ্যাত পাট। পাটের দুর্দিনে সাথে সাথে কাঁচা পাট রপ্তানিকারকরা সংকটে পড়েছেন। অথচ এক যুগ আগেও চিত্র ছিল ভিন্ন। বছরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকার কাঁচা পাট রপ্তানি হত তখন। কিন্তু গত অর্থবছরে রপ্তানির পরিমাণ মাত্র সাড়ে ৬০০ কোটি টাকায় দাড়িয়েছে। কাঁচা পাট রপ্তানিকারকরা সংকটে পড়ে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন এখন।

পাটবীজ আমদানি–নির্ভরতা, পাট পচানোর পানির সংকট প্রধান কারণ বলা হচ্ছে।

তাছাড়া পাটের মূল্যের অস্বাভাবিক ওঠানামা হয়।

আরো পড়ুন
কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন রক্ষার্থে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ

কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির উন্মুক্ত স্থান। প্রজনন ক্ষেত্র বাচানোর জন্য রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ২৫ এপ্রিল থেকে Read more

বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ

এবারের ২০২৪ সালের বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ রবিবার মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও Read more

নানা কারণে কৃষকদের পাট উৎপাদনে অনাগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে।

পাশাপাশি কাঁচা পাট রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণের জায়গার অভাব রয়েছে বলে জানান রপ্তানিকারকেরা।

কাঁচা পাট রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএ)।

তাদের সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে পাট রপ্তানির সঙ্গে দেশের মোট ৭০টি প্রতিষ্ঠান জড়িত।

এসব প্রতিষ্ঠান বিশ্বের অন্তত ১৪টি দেশে বর্তমানে কাঁচা পাট রপ্তানি করছে।

২০১০-১১ অর্থবছরে মোট ১ হাজার ৯০৭ কোটি টাকার কাঁচা পাট রপ্তানি হয়।

কিন্তু ২০২০-২১ অর্থবছরে সেটি কমে এসে দাাঁড়িয়েছে মাত্র ৬৬০ কোটি টাকায়।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৭ মাসেও রপ্তানি তেমন নেই।

মোট রপ্তানি হয়েছে ৬০৩ কোটি টাকা।

বিজেএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আরজু রহমান ভূঁইয়া।

কাঁচা পাট রপ্তানি কমে যাওয়ার বেশ কয়েকটি কারণ আছে বলে তিনি জানান।

তিনি জানান, বিভিন্ন কারণের মধ্যে দেশে পাট উৎপাদন কমে যাওয়া অন্যতম একটি।

পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে কাঁচা পাট রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণের জায়গার অভাব, কাঁচা পাটের অবৈধ মজুত ও আমদানিকারক দেশগুলোর সিনথেটিক পণ্যের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণ তো রয়েছেই।

আরজু রহমান বলেন, কাঁচা পাটের সবচেয়ে বড় ক্রেতা ভারত, পাকিস্তান ও চীন।

একসময় ভারত ও পাকিস্তানের সমগ্রই সিনথেটিক মোড়ক নিষিদ্ধ ছিল।

কিন্তু পর্যাপ্ত পাট সরবরাহ নেই।

অন্যদিকে বাংলাদেশের পাটের বাজার অস্থিতিশীল।

আর তাই তারাও এখন সিনথেটিক পণ্যের প্রতি ঝুঁকছে।

কাঁচা পাট রপ্তানি বাড়াতে হলে প্রথমে কৃষককে পাটের ন্যায্য মূল্য দিতে হবে।

এমনটাই মনে করেন জেষ্ঠ্য সহসভাপতি আরজু রহমান।

তার মতে, দেশে উন্নতমানের বীজ উৎপাদন ও পাটের বাজার স্থিতিশীল রেখে ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে হবে।

এমনটা সম্ভব হলেই পাট উৎপাদন বাড়বে।

পাটের উৎপাদন বাড়লে রপ্তানিও বাড়বে।

এতে বিদেশি ক্রেতারাও পরিবেশবান্ধব পাট পণ্যে ফিরে আসবেন।

এ ছাড়া নতুন নতুন বাজার তৈরিতে সরকারি উদ্যোগ প্রয়োজন হয়।

সেইসাথে  নারায়ণগঞ্জে কাঁচা পাট রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল তৈরিরও দাবি জানান আরজু রহমান।

2 comments on “কাঁচা পাট রপ্তানিকারকরা সংকটে, আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন

মোহাম্মদ নাজিমউদ্দীন

আমি জানতে চাই মৎস্য চাষের পদ্ধতি সমপর্কে

Reply
এগ্রোবিডি২৪

আপনার আগ্রহের জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনি মাছ চাষের পদ্ধতি নিয়ে জানতে চেয়েছেন। মাছ চাষের পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আমাদের মাছ চাষ সেকসনে ঘুরে আসুন। বিস্তারিত

Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *