Thursday, 25 April, 2024

সর্বাধিক পঠিত

নতুন ১০টি জাতের নিবন্ধন দেয়া হয়েছে ধানের


ধানের নতুন ১০টি জাতের ধান নিবন্ধন ও ছাড় পেয়েছে

ধানের নতুন ১০টি জাতের নিবন্ধন ও ছাড়করণ হয়েছে এবার। বোরো মৌসুমে চাষের জন্য এমন জাতের নিবন্ধন করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) উদ্ভাবিত জান রয়েছে দুটি। অপরদিকে বাংলাদেশ পরমাণু গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) উদ্ভাবিত জাত রয়েছে একটি। সেই সাথে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ব্র্যাক উদ্ভাবিত একটি উচ্চ ফলনশীল জাত ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ছয়টি হাইব্রিড জাতের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এবার এই নতুন ১০টি জাতের নিবন্ধন ও ছাড়করণ দেয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে এই নতুন ১০টি জাতের নিবন্ধন দেয়া হয়। জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৬তম সভায় এ অনুমোদন ও ছাড়করণ দেওয়া হয়।

হাইব্রিডের ফলন খুব বেশি

আরো পড়ুন
কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন রক্ষার্থে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ

কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির উন্মুক্ত স্থান। প্রজনন ক্ষেত্র বাচানোর জন্য রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ২৫ এপ্রিল থেকে Read more

বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ

এবারের ২০২৪ সালের বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ রবিবার মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও Read more

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় বীজ বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. সায়েদুল ইসলাম।

তিনি এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

কৃষিসচিব তার বক্তব্যে বলেন, হাইব্রিডের ফলন খুব বেশি।

কৃষি মন্ত্রণালয় স্বল্প জমি থেকে বেশি উৎপাদনের জন্য হাইব্রিডের জাত উদ্ভাবন ও আবাদ বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিচ্ছে।

এ পর্যন্ত ধানের ২১৮টি জাতের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে।

এখন থেকে জাত নিবন্ধনে আরও বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে।

এক্ষেত্রে মানসম্পন্ন ও দীর্ঘ সময় ধরে কৃষককে লাভবান করবে এমন জাতের দিকে বেশি নজর দেয়া হবে।

ব্রি উদ্ভাবিত ছাড় করা ব্রি ধান ১০১ ব্যাকটেরিয়া জনিত পোড়া রোগ প্রতিরোধী।

সেই সাথে তাদের উদ্ভাবিত ব্রি ধান-১০২ জিংকসমৃদ্ধ।

ট্রায়ালে ব্রি ১০১–এর গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৭ দশমিক ৭২ মেট্রিক টন পাওয়া গেছে।

অন্যদিকে ব্রি ধান ১০২–এর হেক্টর প্রতি উৎপাদন পাওয়া গেছে ৮ দশমিক ১১ মে. টন।

ব্রি ধান ১০২ ধানের প্রতি কেজিতে ২৫ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম জিংক পাওয়া যায়।

অপরদিকে বিনা ধান ২৫ ট্রায়ালে গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৭ দশমিক ৬৪ মে. টন পাওয়া গেছে।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ব্র্যাক উদ্ভাবিত ব্র্যাক ধান-২।

যার গড় ফলন হেক্টরপ্রতি ৭ দশমিক ৩৬ মে. টন পাওয়া গেছে যা ১৩৯ দিনে পরিণত হয়।

নিবন্ধন দেবার সময় বেসরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ছয়টি হাইব্রিড ধানের ফলাফল পুনরায় পর্যালোচনা করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (বীজ) আবদুল্লাহ সাজ্জাদ, অতিরিক্ত সচিব কমলারঞ্জন দাশ, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) চেয়ারম্যান এ এফ এম হায়াতুল্লাহ, ব্রির মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, বিনার মহাপরিচালক মির্জা মোফাজ্জল ইসলামসহ বীজ বোর্ডের সদস্যরা।

0 comments on “নতুন ১০টি জাতের নিবন্ধন দেয়া হয়েছে ধানের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *