Thursday, 25 April, 2024

সর্বাধিক পঠিত

সুমিষ্ট জামরুল গাছের চাষ


একটি রসালো গ্রীষ্ম কালীন ফল জামরুল। এর লোকাল নাম গোলাপজাম,  যা হালকা মিষ্টি স্বাদযুক্ত। আমাদের দেশের বসত বাড়ির আশেপাশে, অথবার পুকুরের ধারে ইত্যাদি স্থানে  বিক্ষিপ্তভাবে এ ফলের গাছ দেখা যায়। চাইলে বাড়ির ছাদে হাফ ড্রামেও জামরুল গাছ চাষ করা যায়।

জামরুলএর বৈজ্ঞানিক নাম ‘Syzygium samarangense‘, যা ভিটামিন বি-২ সমৃদ্ধ একটি ফল। ডায়াবেটিস রোগীর তৃষ্ণা নিবারণে জামরুল খুব উপকারী। এ ফলে প্রচুর পরিমাণে পানি থাকে।  এত আমিষ, ভিটামিন সি, লৌহ, খনিজ লবণ,  ও ক্যারোটিন ‍বিদ্যমান। কিভাবে জামরুল গাছের চাষ করা যায় তা জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত।

জামরুল ফলের ইংরেজি নাম হচ্ছে Champoo. এটি একটি থাই শব্দ।

আরো পড়ুন
কাপ্তাই হ্রদে মাছের প্রজনন রক্ষার্থে তিন মাস মাছ শিকার বন্ধ

কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির উন্মুক্ত স্থান। প্রজনন ক্ষেত্র বাচানোর জন্য রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে ২৫ এপ্রিল থেকে Read more

বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ

এবারের ২০২৪ সালের বোরো মৌসুমের ধান ও চালের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার। আজ রবিবার মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে খাদ্য পরিকল্পনা ও Read more

জামরুল চাষে  উষ্ণ ও আর্দ্র জলবায়ু বেশি উপযোগী। জামরুল ফল এর তিন  ধরনের জাত দেখা যায়। সাদা, সবুজাভ সাদা, গোলাপীলাল রঙের।

জামরুলের গুটি কলম বা চারা তৈরি

জামরুলের বংশ বিস্তার হয় গুটি কলম ও শাখা কলমের মাধ্যমে । কলম করতে হয় ফল হয়ে নুতন পাতা গজানোর সময়। মে থেকে জুন মাসে শাখা কলম করতে হয়।

বর্ষা কালে ৪-৫টি পর্বসহ ডাল কেটে পলিব্যাগে রাখতে হবে। নতুন কুঁড়ি বের হলে সেটা পরের বছর মূল জমিতে রোপণ করতে হবে।

সবধরনের মাটিতেই জামরুল চাষ করা যায়। কিন্তু উচ্চ পানিনিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্বলিত দো-আঁশ মাটি খুব ভাল।

৬ মিটার   দূরত্ব করে ১ মিটার গভীর  গর্ত করতে হবে। অন্তত মূল কলম রোপনের ১০-১৫ দিন আগে। ওপরের মাটির সাথে জৈব সার, টিএসপি, এমওপি, জিপসাম সার ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার গর্তটি ভরাট  করে তাতে পানি দিতে হবে।

সার প্রয়োগের ১০-১৫ দিন পর রোপন করতে হবে। নির্বাচিত কলমটি গর্তের মাঝ বরাবর খাড়াভাবে রোপণ করতে হবে। প্রয়োজন মতো পানি, খুঁটি, বেড়ার ব্যবস্থা করতে হবে। প্রয়োজন অনুসারে সার প্রয়োগ করতে হবে।

গাছের পরিচর্যা

গাছের গোড়ায় আগাছা রাখা যাবে না। তাই সবসময় আগাছা পরিষ্কার করতে হবে।

খরা মৌসুমে পানি সেচের ব্যবস্থা করতে হবে।  জামরুলে পানির পরিমাণ খুব বেশি, তাই সেচের ব্যবস্থা করতে হবে। বর্ষাকালে নালা কেটে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশন করতে হবে।

রোগও পোকা-মাকড় আক্রান্ত হলে ডালপালা কেটে দিতে হবে। গাছ ছোট থাকতেই প্রচুর ডালপালা বিস্তার করে। প্রথম থেকে ফল দেওয়া ডালগুলো রেখে বাকি ডালপালা কেটে দিতে হবে। ফল সংগ্রহ করার পর ভাঙা, মরা ডাল কেটে দিতে হবে।

উপকারিতা

জামরুলে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন সি বিদ্যমান। তাছাড়াও ক্যালসিয়াম, সালফার, আয়রন, পটাশিয়াম ইত্যাদি বিদ্যমান।

এ ফল ডায়াবেটিক রোগীর জন্য খুবই উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে।

জামরুল ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষায় খুব উপকারী। জামরুল খুব গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে বাত নিরাময় এবং চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতে।

0 comments on “সুমিষ্ট জামরুল গাছের চাষ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *