বগুড়া জেলার বিস্তীর্ণ মাঠ ভরা মাচায় শিমের বাগানে রঙিন ফুলে দুলছে কৃষকের স্বপ্ন। বগুড়া জেলায় এবার ৭১৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শিম চাষ করেছেন কৃষকরা। সবুজ পাতার ফাঁকে উঁকি দিচ্ছে রঙিন শিম ফুল। আবার ফুলের মধ্যে শোভা পাচ্ছে থোকা থোকা সবুজ শিম। মনে হয় এ যেন প্রকৃতির নান্দনিক ফুলের বাগান।
দেখা যায়, বগুড়া জেলার শেরপুর, ধুনট, শাজাহানপুর, সারিয়াকান্দি, সোনাতলা, গাবতলী, শিবগঞ্জ, কাহালুসহ অন্যান্য উপজেলায় মাঠজুড়ে শিমের আবাদ শোভা পাচ্ছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে শেরপুর ও শাজাহানপুর উপজেলায়। আষাঢ় থেকে ভাদ্র মাসের শেষ পর্যন্ত শিমের বীজ বপন মৌসুম হলেও চলতি বছর বৃষ্টির কারণে তা পিছিয়ে আশ্বিনে শুরু করতে হয়েছে।
বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, বগুড়া জেলায় এবার ৭১৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শিম চাষ হয়েছে। বিগত বছরের চেয়ে চলতি বছরে জেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে শিম। জেলার চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে বগুড়ার শিম।
শাজাহানপুর উপজেলার শিম চাষি নজিবুল ইসলাম জানান, এ বছর ৩ বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছেন। এতে জমি তৈরি, হালচাষ, রাসায়নিক সার, জৈব সার, কীটনাশক, মাচায় ও শ্রমিকের খরচসহ মোট ১ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। তবে ফলন ভালো হয়েছে। এখন পর্যন্ত দেড় লাখ টাকার শিম বিক্রি করেছেন। আরও শিম রয়েছে বিক্রির জন্য।
শেরপুর উপজেলার পাইকারী ব্যবসায়ী মো. এনামুল হক জানান, জমি থেকে শিম কিনে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করি। বগুড়ার শিমের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ মণ শিম ক্রয় করেন তিনি।
বগুড়া কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক কৃষিবিদ মো. মতলুবর রহমান জানান, বগুড়া জেলায় এবার ৭১৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শিম চাষ হয়েছে। বিগত বছরের চেয়ে চলতি বছরে জেলায় বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে শিম। চাষিদের পরামর্শ দিতে মাঠ ও উপজেলা পর্যায়ে কৃষি কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।