গুল্ম জাতীয় কিন্তু বৃহৎ একটি গাছ আলু বোখারা। ফুল ফোটে বসন্তকালে। ফল গ্রীষ্মকালে পাকে। ফল আকারে গোল অথবা ডিমের আকারের মত হয়। আলু বোখারা মূলত মশলা জাতীয় ফল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
অভিজাত খাবার যেমন পোলা্ও, বিরিয়ানি, জ্যাম, রোস্ট, সালাদ,ইত্যাদি তৈরিতে আলু বোখারার ব্যবহার হয়। ইরাক, ইরান, পাকিস্তান ও ভারতে সাধারণত আলু বোখারা উৎপাদিত হয়। বাংলাদেশেও হচ্ছে এর বাণিজ্যিকভাবে চাষ ।
বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক তবে কিভাবে ছাদে আলু বোখারা চাষ করা যায়।
কিভাবে ছাদে আলুবোখারা চাষ করবেন
একটি বড় সাইজের হাফ ড্রাম ব্যবহার করতে হবে। এর বদলে সিমেন্ট দিয়ে আলাদাভাবে তৈরি করে নেয়া যাবে। গাছের গোড়ায় যেন পানি জমে না থাকে তাই এর নিচে ৩-৫ টি ফুটো করতে হবে ।
তলার এই ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দিতে হবে ইটের ছোট ছোট টুকরা দিয়ে। যেখানে একটু বেশি সময় রোদ পায় গাছটিকে ছাদের এমন জায়গায় রাখতে হবে।
মাটি তৈরি
২ ভাগ বেলে দোআঁশ মাটির সাথে ১০০ গ্রাম টি,এস,পি সার, ৮০ গ্রাম পটাশ সার, ১ ভাগ গোবর, ১০০ গ্রাম সরিষার খৈল এবং ৪০০ গ্রাম হাড়ের গুড়া মেশাতে হবে। এগুলো একত্রে মিশিয়ে ড্রাম বা টবে পানি দিতে হবে। তারপর তা এভাবেই রেখে দিতে হবে ১০-১২ দিন ।
কিছুদিন পর মাটি কিছুটা খুচিয়ে দিতে হবে। তারপর তা আরও ৮-১০ দিন একইভাবে রেখে দিতে হবে । মাটি ঝুরঝুরে হলে সুস্থ কলমের চারা রোপন করতে হবে । রোপনের সময় চারা গাছটিকে সোজা করে রোপন করতে হবে ।
গাছের গোড়ার দিকে মাটি কিছুটা উচু করে চেপে চেপে দিতে হবে। গাছটিকে সোজা রাখার জন্য একটি সোজা কাঠি দিয়ে বেধে দিতে হবে । প্রথমদিকে পানি কম দিয়ে আস্তে আস্তে পানি বাড়াতে হবে।
কিভাবে পরিচর্যা
চারা লাগানোর ৪-৫ মাস পর থেকে নিয়মিত পানি দিতে হবে। ১৫-২০ দিন পরপর সরিষার খৈল পচা পানি দিলে ভাল হয়।
কমপক্ষে ৭ দিন সরিষার খৈল পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হয় । তারপর তা পাতলা করে গাছের গোড়ায় দিয়ে দিতে হবে । শিকড় খুব বেশি হয় আলুবোখারা গাছে। মাঝে মাঝে কিছু শিকড়ও ছেটে দিতে হবে।