বাংলাদেশ ডেইরি ডেভলপমেন্ট ফোরামের (বিডিডিএফ) নেতারা বলছেন, কৃষিখাতে প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ এখনও সহজলভ্য হয়নি। তারা বলছেন, চট্টগ্রাম বিভাগে প্রায় ২০ হাজার দুগ্ধ খামারির মধ্যে প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ পেয়েছেন ২০০ থেকে ২৫০ জন খামারী। আর চট্টগ্রাম জেলায় ১৮০০ খামারীর মধ্যে ঋণ পেয়েছেন মাত্র ৬ জন। শুধু তাই নয়, প্রণোদনা প্যাকেজের ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে যেসব খামারীর ঋণ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ব্যাংকগুলো সেই খামারীদের ঋণ দিচ্ছে না। শুধুমাত্র প্রচলিত নিয়মানুযায়ি যারা ব্যাংকের নিয়মিত গ্রাহক তাদেরকে ঋণ সুবিধা দিচ্ছে।
বিডিডিএফ এর ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন সংক্রান্ত অনলাইন আলোচনা সভায় সংগঠনের নেতারা এসব অভিযোগ করেছেন। সংগঠনের সভাপতি সংসদ সদস্য উম্মে কুলসুম স্মৃতি’র সভাপতিত্বে সম্প্রতি এই সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় বক্তারা বলেছেন, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো সাধারণ খামারীদের জামানতসহ নানান কঠিন শর্ত জুড়ে দেওয়ায় ক্ষুদ্র খামারীরা ঋণ সুবিধা নিতে পারছেন না। তাছাড়া ঋণ দিলেও সেটি এক বছরের মধ্যে পরিশোধ করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হচ্ছে। ফলে কোভিড-১৯ এর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ ছোট-বড় দুগ্ধ খামারীদের কারো পক্ষেই স্বল্প সময়ের জন্য ঋণ নেওয়া কঠিন।
সভায় বিডিডিএফ এর ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে কয়েকটি বিষয়ে অগ্রাধিকার দেওয়ার উপর গুরুত্ত্বআরোপ করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে- ক্ষুদ্র ডেউরী খামারীদের প্রণোদনা প্যাকেজে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; পাউডার দুধের আমাদনি শুল্ক সমন্বয় ও ডেইরী উন্নয়ন নীতিমালা প্রণযন করা; দেশীয় পাউডার দুধ উৎপাদনের জন্য বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ তৈরি করা এবং দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য গ্রহণ ও নিরাপদ দুধ উৎপাদন বৃদ্ধি করা।
মুতাসীম বিল্লাহ’র সঞ্চালনায় আলোচনাসভায় বক্তৃতা করেন বিডিডিএফ এর সহসভাপতি কাজী ইমদাদুল হক, উজমা চৌধুরী, মিল্কভিটার সহকারি ব্যবস্থাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, ব্র্যাক ডেইরীর সহকারি ব্যবস্থাপক ডা. মো. হারুন অর রশিদ, পারভীন সুলতানা, ডা. রাকিবুর রহমান, ইকবাল হোসেন, নাজমুল ইসলাম প্রমুখ।