ড্রাগন ফলের দাম তো অনেক বেশি ? ড্রাগন ফলের কেন এত দাম ? আমি জানতে চাই ড্রাগন ফলের উপকারিতা কি?
ড্রাগন ফলের উপকারিতা কি জানতে চেয়েছেন?
ড্রাগন ফলের গুনাগুন নিয়ে বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমানিত আলোচনা করার প্রয়াশ।
১. পুষ্টিতে ভরপুর ড্রাগনঃ ড্রাগন ফল কম ক্যালোরিযুক্ত তবে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে ভরপুর। এটিতে প্রচুর পরিমাণে ডায়েটরি ফাইবার রয়েছে। এক কাপ (২২৭ গ্রাম) ড্রাগনে কি পরিমাণ পুষ্টিগুণ রয়েছে সেগুলি এখানে দেওয়া হলো ক্যালোরি: ১৩৬ প্রোটিন: ৩ গ্রাম ফ্যাট: ০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট: ২৯ গ্রাম ফাইবার: ৭ গ্রাম আয়রন: দৈনিক চাহিদার ৮% ম্যাগনেসিয়াম: দৈনিক চাহিদার ১৮% ভিটামিন সি: দৈনিক চাহিদার ৯% ভিটামিন ই: দৈনিক চাহিদার ৪% প্রয়োজনীয় পুষ্টির বাইরে, ড্রাগন ফল পলিফেনলস, ক্যারোটিনয়েডস এবং বিটাকায়ানিন্স এর মতো উপকারী উপাদানগুলিও সরবরাহ করে।
২. দুরারোগ্য ব্যাধি সারাতে পারে ড্রাগন।
ভিটামিন সি: গবেষণায় দেখা গেছে যে, ভিটামিন সি গ্রহণ এবং ক্যান্সারের ঝুঁকির মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক আছে। ১২০,৮৫২ জনের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে মাথা ও ঘাড়ের ক্যান্সারের নিম্ন হার ভিটামিন সি এর উচ্চ মাত্রার সাথে যুক্ত।
বেটালাইনস: টেস্ট-টিউব সমীক্ষায় ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, বেটালাইন অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে এবং ক্যান্সারের কোষগুলিকে দমন করার ক্ষমতা রাখে।
ক্যারোটিনয়েডস: বিটা ক্যারোটিন এবং লাইকোপিন হলো উদ্ভিদ রঙ্গক যা ড্রাগন ফলকে তার প্রাণবন্ত রঙ দেয়। ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ খাবার ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাসের সাথে যুক্ত।
৩। ড্রাগন ফলে রয়েছে প্রচুর ফাইবার। মহিলাদের প্রতিদিন ২৫ গ্রাম এবং পুরুষের ৩৮ গ্রাম ফাইবার গ্রহনের পরামর্শ পুষ্টিবিদরা দিয়ে থাকেন।
ড্রাগন ফলের উপকারিতা
৪। পাকস্থলিকে সুরক্ষিত রাখে ড্রাগন ফল মূলত দুটি স্বাস্থ্যকর ব্যাকটিরিয়া, ল্যাকটিক অ্যাসিড ব্যাকটিরিয়া এবং বিফিডো ব্যাকটিরিয়া বিস্তারে সহয়তা করে।
নিয়মিত প্রিবায়োটিক গ্রহণ করলে পাচনতন্ত্র ভালো থাকে এবং ডায়রিয়ায় সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস পায়। কারণ, এটি ভাল ব্যাক্টেরিয়াগুলির বিকাশ ঘটায় এবং খারাপ ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ হ্রাস করে।
৫। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৬। রক্তে আয়রনের পরিমান বাড়িয়ে দেয় ড্রাগন ফল। রক্ত শুন্যতা থেকে রক্ষা করে
৭। ড্রাগন ফল দৈনিক চাহিদার ১৮% ম্যাগনেসিয়াম সরবরাহ করে। গড়ে আপনার দেহে ২৪ গ্রাম বা মোটামুটি এক আউন্স পরিমাণ ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
ম্যাগনেসিয়াম আপাতদৃষ্টিতে সামান্য পরিমাণ মনে হলেও এই খনিজ পদার্থটি আপনার প্রতিটি কোষে উপস্থিত এবং আপনার দেহের মধ্যকার ৬০০ টিরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ নেয়।