পেয়ারার একটি উচ্চ ফলনশীল জাত এই কাজী পেয়ারা। বানিজ্যিক পেয়ারা চাষে কাজী পেয়ার রয়েছে অন্যতম অবস্থানে। কাজী পেয়ারার চারা কখন রোপণ করবেন?
কাজী পেয়ারার চারা রোপণের সঠিক সময় নির্ভর করে আবহাওয়া ও মাটির অবস্থার ওপর। সাধারণত বর্ষাকাল বা গ্রীষ্মকাল কাজী পেয়ারার চারা রোপণের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। তবে কিছু সাধারণ নির্দেশনা রয়েছে যা অনুসরণ করলে কাজী পেয়ারার চারা রোপণে ভালো ফল পাওয়া যেতে পারে।
রোপণের উপযুক্ত সময়:
- বর্ষাকাল: জুন থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে বর্ষাকালে চারা রোপণ করা হয়। এই সময় মাটি আর্দ্র থাকে এবং চারার বৃদ্ধি ভালো হয়।
- গ্রীষ্মকাল: ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল মাসের মধ্যে গ্রীষ্মকালে চারা রোপণ করা যায়। এই সময়ে রোপণের পর প্রাথমিক সেচের প্রয়োজন হতে পারে।
মাটি ও স্থান প্রস্তুতি:
- জমির প্রস্তুতি: মাটি ভালোভাবে চাষ করে নিন এবং আগাছা পরিষ্কার করে নিন। ২-৩ বার গভীর চাষ এবং মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করুন।
- গর্ত তৈরি: চারার জন্য ৬০ সেমি X ৬০ সেমি X ৬০ সেমি আকারের গর্ত তৈরি করুন। গর্তের মধ্যে ১০-১৫ কেজি গোবর বা কম্পোস্ট সার, ২০০ গ্রাম টিএসপি এবং ১০০ গ্রাম পটাশ সার মিশিয়ে রাখুন।
চারা রোপণ পদ্ধতি:
- সঠিক দূরত্ব: চারার মধ্যে পর্যাপ্ত দূরত্ব রাখুন। সাধারণত প্রতি গাছের মধ্যে ৪-৫ মিটার দূরত্ব রাখা উচিত।
- চারা রোপণ: চারা গর্তের মধ্যে রোপণ করুন এবং মাটি দিয়ে ঢেকে দিন। রোপণের পরে চারা সোজা রাখতে চারপাশে মাটি ভালোভাবে চাপ দিন।
- সেচ: রোপণের পরপরই প্রথম সেচ দিন। এরপর নিয়মিত পানি সরবরাহ করুন, বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে।
চারা পরিচর্যা:
- সেচ ও নিষ্কাশন: রোপণের পর নিয়মিত সেচ দিতে হবে এবং জমিতে জলাবদ্ধতা যেন না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।
- সার প্রয়োগ: প্রয়োজনীয় পরিমাণে সার প্রয়োগ করুন, বিশেষত নাইট্রোজেন, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম সমৃদ্ধ সার।
- আগাছা নিয়ন্ত্রণ: জমিতে আগাছা হলে তা পরিষ্কার করুন এবং গাছের চারপাশে মাটি ঝুরঝুরে রাখুন।
- রোগ ও পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ: নিয়মিত গাছের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় কীটনাশক এবং ছত্রাকনাশক প্রয়োগ করুন।
সঠিক সময়ে ও পদ্ধতিতে চারা রোপণ এবং নিয়মিত পরিচর্যা করলে কাজী পেয়ারার ভালো ফলন পাওয়া যাবে।