আলুর সবচেয়ে ক্ষতিকর রোগ হল “আলুর অগ্রভাগ পচন” বা “লেইট ব্লাইট” (Late Blight)। এই রোগটি Phytophthora infestans নামক ছত্রাকের কারণে হয়। এই রোগটি আলুর গাছের পাতা, কাণ্ড এবং কন্দকে আক্রমণ করে এবং দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, যা ফসলের বড় ক্ষতি করতে পারে। আলুর অগ্রভাগ পচনের লক্ষণগুলি হল:
- পাতা এবং কাণ্ডে বাদামি বা কালো দাগ দেখা দেয়।
- পাতার নিচের অংশে সাদা ফাঙ্গাল বৃদ্ধি হতে পারে।
- কন্দে ধূসর বা বাদামি রঙের পচন হয়, যা আলুর ভিতরে পর্যন্ত বিস্তৃত হতে পারে।
এই রোগটি নিয়ন্ত্রণের জন্য বিভিন্ন প্রতিরোধক জাত, ফাঙ্গিসাইড ব্যবহার, এবং ক্ষেত্রের সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন।
আলুর জন্য সবচেয়ে মারাত্মক রোগ হলো পাতা ঝলসানো রোগ (Late Blight)। এটি Phytophthora infestans নামক ছত্রাকের কারণে হয়। রোগটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে।
লক্ষণসমূহ
- পাতার উপরে ধূসর বা বাদামি রঙের দাগ:
- দাগগুলো দ্রুত বড় হয়ে পুরো পাতা ঢেকে ফেলতে পারে।
- আর্দ্র অবস্থায় পাতার নিচে সাদা ছত্রাকের স্তর দেখা যায়।
- ডাঁটা ও কান্ডে কালো দাগ:
- সংক্রমণ হলে ডাঁটা ও কান্ড কালো বা বাদামি হয়ে যায়।
- কন্দে পচন:
- আক্রান্ত আলুর কন্দে কঠিন বাদামি বা কালো দাগ দেখা যায়।
- সংরক্ষণের সময় দ্রুত পচন ধরে।
ক্ষতির মাত্রা
- অনুকূল পরিবেশ (উচ্চ আর্দ্রতা এবং ১০-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা) থাকলে রোগটি কয়েক দিনের মধ্যে পুরো জমির ফসল নষ্ট করে দিতে পারে।
- এটি আলুর উৎপাদনে ৫০-৭০% পর্যন্ত ক্ষতি করতে পারে।
প্রতিরোধ ও দমন পদ্ধতি
১. ফসল ব্যবস্থাপনা
- রোগ প্রতিরোধী জাত ব্যবহার করুন (যেমন: ডায়মন্ড, বারি আলু-৭)।
- ভালো নিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করুন।
- এক জমিতে বারবার আলু চাষ এড়িয়ে ফসলের পরিবর্তন করুন।
২. সুষম সার প্রয়োগ
- বেশি পরিমাণ নাইট্রোজেন ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
৩. রোগ দেখা দিলে
- প্রাথমিক পর্যায়ে ম্যানকোজেব বা মেটালাক্সিল যুক্ত ছত্রাকনাশক (যেমন: রিডোমিল গোল্ড) স্প্রে করুন।
- ৭-১০ দিন অন্তর স্প্রে পুনরায় করুন।
৪. জৈব পদ্ধতি
- নিমতেল ব্যবহার করতে পারেন।
- আক্রান্ত গাছ বা অংশ দ্রুত তুলে পুড়িয়ে ফেলুন।
নিয়মিত নজরদারি
আলুর জমি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন। প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত পদক্ষেপ নিন। পাতা ঝলসানো রোগ নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো ফসল নষ্ট হয়ে যেতে পারে।