Sunday, 24 November, 2024

সর্বাধিক পঠিত

সোঁনালী আশের বেঁচা কেনায় মুখর ঐতিহ্যবাহী দিঘীরপাড় হাট


সোনালী আঁশ পাট বাজারজাতকরণ শুরু হয়েছে মুন্সিগঞ্জ জেলায়। জেলার টঙ্গীবাড়ী উপজেলার শত বছরের প্রাচীন দীঘিরপাড় পাটের হাট। এই দিঘীরপাড় সোঁনালী আশের বেঁচা কেনায় জমে উঠেছে । মুন্সিগঞ্জ জেলার ৬টি  উপজেলার বিস্তৃণ জমিতে উৎপাদিত পাট সমূহ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী জেলা সমূহের পাট বাজারজাত হচ্ছে এই হাটে।

ভালো বাজার মূল্যে খুশি কৃষকেরা

এ বছর বাজার মূল্য ভালো যাচ্ছে। যার ফলে কৃষকেরা উৎপাদন খরচ পুষিয়ে লাভবান হচ্ছেন। প্রতিমণ পাট বিক্রয় করে তারা ১ হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত লাভ করছেন। দাম যদি এমন ভাবে স্থির থাকলে পাটের আবাদ ভবিষ্যতে বাড়বে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।

আরো পড়ুন
পান চাষ পদ্ধতি

পান চাষ একটি লাভজনক কৃষি পদ্ধতি, বিশেষ করে বাংলাদেশ, ভারত ও অন্যান্য দক্ষিণ এশিয়ার দেশে এটি ব্যাপক চাষ করা হয়। Read more

মিঠা জাতের পান চাষে লাভবান কৃষক

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার ফুলের ঘাট এলাকার পান চাষের এই চিত্র সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। পান চাষ একটি লাভজনক ফসল হওয়ায় এটি ক্রমশ Read more

পদ্মা শাখা নদীর তীরে অবস্থিত জেলার ২শ বছরের বেশি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী  টঙ্গীবাড়ী দীঘিরপাড় পাটের হাট। এই পাটের হাটে সরাসরি গেলে দেখা যায় যে গোটা বাজার ছেয়ে গেছে বিক্রি উপযোগী সোনালী আশে। হাঁক-ডাকে জমে উঠেছে হাটের বেঁচা-কেনা  । বর্তমানে হাটে অন্তত দেড়  থেকে দুই হাজার মণ পাট বিক্রি হচ্ছে প্রতিবারে।

এই হাটে চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ফরিদপুরসহ কয়েকটি জেলায় উৎপাদিত পাটের কেনা বেঁচা হয়। এই বেচা কেনা হয় ট্রলারের মাধ্যমে । গেল কয়েক বছর ধরে পাটের দর ছিল কম, চাহিদাও কম ছিল। কিন্ত এবার চাহিদা ও দাম দুটোই বেড়েছে। প্রতি মণে কৃষকদের ২ হাজার থেকে ২২শ টাকা খরচ হওয়া পাট ৩২শ থেকে ৩৫শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ।

হাটের কৃষক-বিক্রেতারা জানান, গত বছর েএর তুলনায় এবার প্রতি মণে তুলনামূলক ভাবে হাজার টাকার বেশি বেড়েছে।

জেলা কৃষি অফিস থেকে জানা যায়, মুন্সিগঞ্জে জেলায় এ বছর ২৮শ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় যা ৪শ হেক্টর  কম। কিন্তু পাটের উৎপাদন ভালো হওয়ার কারণে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবে এবছর। দিঘীরপার হাটে এ বছর আনুমানিক ৪০ থেকে ৫০ হাজার মণ পাটের কেনা-বেচা হবে বলে কৃষি অফিস ধারণা করছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জানান, জেলায় এ বছর ৪শ হেক্টর জমিতে পাটের আবাদ কম ছিল। কিন্তু পাটের উৎপাদন ভালো হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়াবার পাশাপাশি ভালো বাজার দর থাকায় কৃষকরা খুশি বলে তিনি জানিয়েছেন।

পাটের বাজার সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বর্তমানে সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে পাটে ও চটের ব্যাগ ব্যবহার। পাটের ব্যবহার  বাড়লে বাজারমূল্যও বাড়বে।এবং কৃষকরা লাভবান হবে বলে উপপরিচালক মত প্রকাশ করেন।

2 comments on “সোঁনালী আশের বেঁচা কেনায় মুখর ঐতিহ্যবাহী দিঘীরপাড় হাট

Abdus Sattar

পাটের কোন উপকারিতা বা কার্যকারিতা আছে কি? মানে পাট দিয়ে কি হয়?

Reply
মোঃ শাহনেওয়াজ কবীর

পাট এর সবচেয়ে বড় গুণ এটা প্রাকৃতিক পণ্য। বর্তমানে পাটের বহুমুখী ব্যবহার আছে। পাটের বস্তা ছাড়াও এখন পাটের তৈরি বিভিন্ন সৌখিন ব্যাগ পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি পাট থেকে কিছুদিন আগে পলিথিন এর বিকল্প পলিথিন তৈরি করা সম্ভব হয়েছে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান পাট থেকে উৎপন্ন বিভিন্ন পণ্য নিয়ে কাজ করছে, এমনকি দেশের বাইরেও রপ্তানি হচ্ছে। খুব দ্রুতই পাট জাত পণ্য নিয়ে আমাদের ওয়েবসাইটে কিছু লেখা পাবেন।

Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *