
এবছর আলুর বাম্পার ফলন হলেও কৃষকরা সঠিক দাম পাচ্ছে না। তাদের ক্ষতি কমাতে সরকার সরাসরি কিছু আলু কিনবে। পাশাপাশি কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে আলুর দাম বেঁধে দেওয়ার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ রবিবার গাবতলীস্থ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের একথা জানান কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।
উপদেষ্টা বলেন, বিএডিসির টিস্যু কালচার কেন্দ্রে আলু, আনারস, খেজুর এবং বিভিন্ন ফুলের চারা তৈরি করা হচ্ছে। এর ফলে খেজুরসহ অন্যান্য আমদানি নির্ভর ফসল ও বীজের জন্য বিদেশের ওপর আমাদের নির্ভরতা কমবে। তিনি জানান, নেদারল্যান্ডসসহ অন্যান্য দেশ থেকে চড়া দামে আলু বীজ কিনতে হয়। দেশে উন্নত জাতের আলু বীজ উৎপাদন করা গেলে কৃষকের জন্য তা ভালো হবে এবং বিএডিসি এই কাজটিই করছে।
সাম্প্রতিক সময়ে সবজির দাম বৃদ্ধি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, বৃষ্টির কারণে সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে তার প্রভাব পড়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে এই সমস্যা থাকবে না।
পাট বীজের আমদানি নির্ভরতা কমানোর প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, পাট বীজ উৎপাদনে অনেক সময় লাগে। এ সময়ে কৃষকরা ২-৩ বার ধান ফলাতে পারেন। কৃষক যে ফসলে লাভবান হন, সেটাই চাষ করেন। তাছাড়া বীজের জন্য পাট রাখলে আঁশের মানও কমে যায়। দেশের জমির পরিমাণ কম হওয়ায় স্থানীয়ভাবে পাট বীজ উৎপাদন করে চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এ সময় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান উপস্থিত ছিলেন।