Thursday, 11 December, 2025

সরকারি গুদামে চাল দিতে অনাগ্রহী কৃষক, সমান দাম পাচ্ছে বাজারে


ধানের গুদাম

সরকারি গুদামে চাল দিতে অনাগ্রহী কৃষক, সমান দাম পাচ্ছে বাজারে

ধান সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়েছে দেড় মাস হয়ে যাচ্ছে। অথচ নওঁগা সরকারি গুদামগুলোতে ঘুরে দেখা যাচ্ছে তেমন সংগ্রহ হয়নি ধান। কৃষকদের  সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ করেও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

জানা যায় অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এ যাবত পর্যন্ত ৩৯৪ মেট্রিক টন ধান কেনা হয়েছে। গুদামে ধান বিক্রয়ের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না কৃষকরা। স্থানীয় কৃষক ও খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের তথ্য অনুসারে বাজারদর ও সরকারি নির্ধারিত দাম প্রায় সমান। এতে গুদামে বিক্রয় করলে তাদের লাভ থাকবে না, আবার অতীত অভিজ্ঞতা থেকে বেশি ঝক্কি-ঝামেলা সব মিলে কৃষকদের ভোগান্তি ই বেশি। তাছাড়া কৃষকদের প্রদত্ত তথ্য অনুসারে আর্দ্রতার কথা বলে মণে এক-দুই কেজি ধান বেশি করে নেয়া হয়ে যায়। প্রায় সময় ধান ফেরতও দেয়া হয় না, যা স্থানীয় বাজারে এসব ঝক্কি-ঝামেলার বালাই নেই। তাই কৃষকদের মধ্যে এই অনাগ্রহ।

আরো পড়ুন
পাহাড়ে বারি-৪ লাউ চাষে সাফল্য: কাপ্তাইয়ের রাইখালী গবেষণা কেন্দ্রে বাম্পার ফলন
লাউ চাষের বাম্পার ফলন

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলাস্থ রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (পিএআরএস) বারি-৪ জাতের লাউ চাষে বড় ধরনের সাফল্য Read more

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান

বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে সকল পক্ষের স্বার্থকে সমন্বিত করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি Read more

আমন ধান ক্ষেতে
আমন ধান ক্ষেতে

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে জানা যায়, এবার বোরো মরসুমে জেলার ১১ টি উপজেলার সদর উপজেলা অ্যাপের মাধ্যমে ও বাকি গুলোতে লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হয় কৃষকদের। এবারে জেলার লক্ষ্যমাত্রা ৩২ হাজার মেট্রিকটন যার প্রতি মণ ১ হাজার ৪০ টাকা অর্থাৎ প্রতি কেজি ২৬ টাকা দরে  ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। লটারির মাধ্যমে ২৯ হাজার ৪০০ এবং অ্যাপের মাধ্যমে ২ হাজার ৯০০ কৃষককে নির্বাচিত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার অবধি ১৯ টি গুদামে ৩৯৪ মেট্রিক টন ধান কিনেছে।

একজন কৃষক বলেন গুদামে যে দামে বিক্রয় করা হবে সে দাম বাজারেই পাচ্ছেন তারা তাই ২০-২৫ কিলোমিটার দূরে গিয়ে বিক্রয় করার থেকে বাজারে বিক্রয় করা সুবিধাজনক। একইভাবে অন্যান্য কৃষকেরাও একই মত প্রকাশ করেছেন

বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাটারিভোগ প্রতি মণ ৯৮০-১০০০ টাকা, জিরা ১০২০ টাকা, বিআর-২৮ ৯২০ টাকা দরে বিক্রয় হচ্ছে। প্রায় সমপরিমান দাম তাদের গুদামে চাল বিক্রয়ে নিরুৎসাহিত করছে। গুদাম কর্তৃপক্ষ ব্যক্তিগত ভাবে যোগাযোগ করলেও সাড়া দিচ্ছেন না কৃষকেরা।

নিয়ামতপুর উপজেলার গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, সরকারি বেধে দেয়া দাম েএর প্রায় সমান দামে  স্থানীয় বাজারে ধান কেনা-বেচা হচ্ছে। তাই লটারির সময় প্রচুর আগ্রহ দেখালেও এখন কারও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।

তবে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এখনো আশাবাদী। তার মতে, এখনো ধান কেনার জন্য যথেষ্ট সময় আছে। তাই এ ব্যাপারে এখনো হতাশ হবার কিছু দেখছেন না। তিনি ধারণা করেন আগামী ৩১শে আগষ্ট এর মধ্যেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে এবং সকল কৃষক গুদামে ধান দেবেন।

0 comments on “সরকারি গুদামে চাল দিতে অনাগ্রহী কৃষক, সমান দাম পাচ্ছে বাজারে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ