নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় ২ টাকা কেজিতে মুলা বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদনকারী কৃষক ৬ মণ মুলা বেচে এক কেজি গরুর মাংস কিনতে পারছেন না। শীতের সবজির দামে ক্রেতারা খুশি হলেও অস্বস্তিতে ভুগছেন বিক্রেতারা।
নীলফামারীর সবচেয়ে বড় কাঁচামালের বাজার সৈয়দপুর-দিনাজপুর বাইপাস সড়কে অবস্থিত।
ভোরে সেখানে পাইকারি বাজার শুরু হয়ে বেচা-কেনা চলে দুপুর পর্যন্ত। দূর-দূরান্ত থেকে ক্রেতারা এই পাইকারি বাজারে এসে কাঁচা তরিতরকারি কিনে নিজ এলাকায় নিয়ে যান। সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে মাত্র ২ টাকায়। খুচরা দোকানিরা এসব কিনে বাজারে ৪-৫ টাকায় বিক্রি করছেন।
সৈয়দপুরের বোতলাগাড়ী ইউনিয়নের শ্বাসকান্দর এলাকার কৃষক আবেদ আলী বলেন, পাইকারি বাজারে মুলা এনে বিক্রি হচ্ছে না। প্রায় সোয়া ৬ মণ মুলা বেচে ৫০০ টাকায় এক কেজি গরুর মাংস কিনতে হচ্ছে।
উপজেলার বাঙালিপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর এলাকা থেকে মুলা বিক্রি করতে আসা রবিউল বলেন, ৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৬ শতক জমিতে মুলার চাষ করেছি। আজ প্রথম হাটে মুলা বিক্রি করতে এসেছি। কিন্তু ক্রেতা নেই। বাজারে মুলা বিক্রি করতে এসে বিপাকে পড়েছি। ক্রেতা না থাকায় ২ টাকা কেজিতে মুলা বিক্রি করেছি।
বাজারে এখন আলু, বেগুন, পেঁয়াজের চাহিদা থাকলেও মুলাসহ অন্যান্য সবজির ক্রেতা নেই বললেই চলে। করোনাকালে ক্রেতার অভাবে প্রতি কেজি মুলা ২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ফলে হতাশায় ভুগছেন কৃষকরা।
বাজারে মৌসুমী শীতের সবজির দাম কমেছে। বর্তমানে ফুলকপি ২৫, পাতাকপি ৩০, বরবটি ৫০, সিম ৮০, করলা ৫০, গাঁজর ১০০, বেগুন ৩০ ও লাউ পিস প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। এছাড়া বাজারে ওঠা নতুন আলু ৭০ ও পুরোনো দেশি আলু ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা বেগম বলেন, বোতলাগাড়ীতে এবার প্রচুর শাক-সবজি উৎপাদন হচ্ছে। ফলে শাক-সবজির দাম কমে গেছে।