হার্টিকালচার সেন্টার, বগুড়ার তথ্যমতে চলতি মৌসুমে বগুড়ায় প্রায় ৬ হাজার মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্যামাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। হার্টিকালচার সেন্টার বগুড়া সূত্রে জানা গেছে, বগুড়ায় চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ১২৮ হেক্টর জমিতে ১ হাজার ৯৮৫টি আম বাগান রয়েছে। এসব আম বাগান থেকে এবছর ৫ হাজার ৯৩৫.৩৫ মেট্রিকটন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যার বাজার মূল্য প্রায় ২০ কোটি টাকা।
এছাড়াও ১৬৯.৩০ হেক্টর জমির ৯০২টি লিচু বাগান থেকে ১ হাজার ৯৬৫.৭০ মেট্রিকটন লিচু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এই কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ছাহেরা বানু বলছেন, বগুড়াতে সেই অর্থে বাণিজ্যিক আম বাগান গড়ে উঠেনি। তারপরেও আম চাষ লাভজনক হওয়ায় তা ধীরে ধীরে শখ থেকে বাণিজ্যিকে পরিণত হচ্ছে।
অন্যান্য ফসলের তুলনায় আম চাষ কম ঝুঁকি ও লাভজনক হওয়ায় বগুড়ার চাষিরাও ঝুঁকছেন আম চাষে। বিগত দিনগুলোতে বসত বাড়ির চারপাশ, রাস্তার ধার, পুকুর পার ও পতিত জমিতে বিভিন্ন ফলদ গাছের সাথে আমের গাছ রোপণ করা হলেও সাম্প্রতিক বগুড়ার অনেকেই শখ থেকে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তুলছেন আমের বাগান।
এ জেলায় আম্রপালি আম বেশি চাষ হয়। এছাড়াও স্বল্প পরিমাণে ল্যাংড়া, বারি-৪, খিরসাপাত, গৌরমতি, কাটিমন আমের বাগান রয়েছে। তিনি আরও বলেন, জেলার আদমদীঘি, গাবতলী, বগুড়া সদর ও দুপচাঁচিয়া উপজেলায় বেশি আম চাষ হয়।
তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বগুড়ার উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান কিছুটা ভিন্নমত পোষণ করে বলছেন, বগুড়ার সাড়ে ৩ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন আমের গাছ থাকলেও সেগুলোকে বাগান বলা যাবে না। বগুড়াতে বসত বাড়ির চারপাশ, রাস্তার ধার, পুকুর পার ও পতিত জমিতে প্রচুর আম গাছ রয়েছে। ভালো ফলন ও দামে এ জেলার চাষিরাও আম চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন।
নওগাঁ, চাপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহীসহ অন্যান্য জেলাতে যেভাবে বাণিজ্যিক আম চাষ হয়, বগুড়াতে সেই অর্থে বাণিজ্যিক আম চাষ এখনও গড়ে উঠেনি। তবে ইদানিং এ জেলাতেও অনেকে শখ থেকে বাণিজ্যিক আম বাগান গড়ে তুলছেন।
তিনি আরও বলেন, বগুড়াতে বিভিন্ন স্থানীয় জাতের আম রয়েছে। এসব আম চলতি মাসের ২০ তারিখ থেকে আহরণ করার জন্য মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।