চলমান বন্যায় শাক সবজির দামে প্রভাব পড়তে পারে। বেড়ে যেতে পারে দাম। এমনটাই জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি জানান, চলমান বন্যায় শাক সবজির দামে প্রভাব পড়তে পারে বিরূপভাবে। একই কারণে দেশে খাদ্যসংকট হবার বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত নন তিনি।
বন্যা দীর্ঘস্থায়ী না হলে ভয় নেই
তিনি বলেন এখনই বলা যাচ্ছে না যে খাদ্যের কোন সংকট হবে কি না।
তবে মাঠে যে এখন বড় ধরনের কোনো ফসল নেই সেটা তিনি নিশ্চিত।
কিন্তু তবুও বন্যায় সুনামগঞ্জ ও সিলেটে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।
প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবারের বন্যায়।
পাশাপাশি প্রায় ৫৬ হাজার হেক্টর জমির আউশ ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সারা দেশে।
আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক এসব কথা জানান।
মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সামীরের সঙ্গে বৈঠক করেন কৃষিমন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী জানান, বন্যার কারণে শাকসবজি, তিল, বাদাম প্রভৃতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে।
তবে বন্যা দীর্ঘস্থায়ী না হলে ততটা চিন্তার কিছু নেই বলে তিনি মনে করছেন।
যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, সেটা পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে বলে তিনি মনে করেন।
ইতিমধ্যেই এ লক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতিও শুরু করা হয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
আমন ধানের উৎপাদন যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখার কথা বলেন তিনি।
বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে বলে তথ্য দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, আমন ধান আমাদের দেশের জন্য একটি বড় ফসল।
আমন ধান থেকে বছরে ১ কোটি ৫০ লাখ টনের মতো এ চালের উৎপাদন হয়।
বর্তমানে রোপা আমনের বীজতলা তৈরি হচ্ছে।
বন্যা আর না বাড়লে বা দীর্ঘস্থায়ী না হলে বীজতলা তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমনের বীজতলা তৈরির জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা রাখার নির্দেশ রয়েছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যেসব বীজতলা করা হয়েছে, তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে আবার করা যাবে।
এর জন্য পর্যাপ্ত বীজ সংরক্ষিণ করা আছে।
প্রয়োজনে সেগুলো চাষিদের দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
তাছাড়া বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলে নাবী জাতের ধান চাষের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান।
পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে মন্ত্রী জানান।
মন্ত্রী বলেন, বন্যার কারণে আমন ক্ষতিগ্রস্ত হলে রবি মৌসুমে ফসলের উৎপাদন বাড়াতে হবে।
ক্ষতি পোষাতে কৃষকদের বিনামূল্যে বিভিন্ন উপকরণ দেওয়া হবে।
আম নেবার আগ্রহ মালদ্বীপের
মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিরুজিমাথ সামীর বাংলাদেশ থেকে আম নেবার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
বাংলাদেশের বিশাল সামুদ্রিক সম্পদের আহরণে মালদ্বীপ সহযোগিতা করবে।
এ ব্যাপারেও তাদের আগ্রহের কথা জানান কৃষিমন্ত্রী।