বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় আম ফজলির ভৌগলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্য হিসাবে স্বীকৃতির দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের পাশাপাশি দুইটি জেলা।
রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সেই দাবি নিয়ে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
বাংলাদেশের অনেক স্থানে ফজলি আম হয়ে থাকে।
তবে রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ- এই দুইটি জেলায় সবচেয়ে বেশি ফজলি আম উৎপাদিত হয়।
রাজশাহীর ফল গবেষণা কেন্দ্রের আবেদনের পর ২০২১ সালে ফজলি আমকে রাজশাহীর নিজস্ব পণ্য হিসাবে স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করেছিল পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর।
কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জ সেই স্বীকৃতির বিরুদ্ধে আপত্তি জানিয়ে আপিল করে।
রাজশাহীর স্বীকৃতির আবেদন
উত্তরাঞ্চলীয় রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ‘ফজলি আম’কে রাজশাহীর নিজস্ব পণ্য হিসাবে স্বীকৃতির জন্য ২০১৭ সালে আবেদন করেছিল রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র।
সেই আবেদনের পর যাচাই-বাছাই শেষে ২০২১ সালের ছয়ই অক্টোবর বাঘার ফজলি আমকে রাজশাহীর নিজস্ব আম হিসাবে জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জি-আই) বা ভৌগলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি দিয়ে জার্নাল প্রকাশ করা হয়।
প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ আলীম উদ্দিন বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ”বাংলাদেশের ক্ষীরসাপাত, ল্যাংড়া আর আশ্বিনা আমের জিআই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা হয়েছে। তখন আমরা ভেবে দেখলাম, মালদার ফজলি আম যেহেতু সেদেশে স্বীকৃতি পেয়েছে, তাহলে আমাদের রাজশাহীর বাঘা ফজলি আমের জিআই স্বীকৃতির জন্য আমরা আবেদন করতে পারি।”
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আপত্তি
জিআই পণ্যের স্বীকৃতির নিয়ম অনুযায়ী, জার্নালে প্রকাশের দুই মাসের মধ্যে কারও আপত্তি থাকলে জানাতে হবে। না হলে সেটির ভৌগলিক নির্দেশক সূচক কার্যকর হয়ে যাবে।
বাঘা ফজলি আমের জিআই স্বীকৃতির বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আপত্তি করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশন।
বিবিসি বাংলা