তবে ব্যবসায়ীদের মতে বাজারব্যবস্থাতেও পরিবর্তন এসেছে। যার মূল কারণ সরকারি পাটকল বন্ধ থাকা। বাজারে এখন পাটের বড় ক্রেতা মিলমালিকেরা নন বরং মৌসুমি ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন রপ্তানিকারকেরা পাট নেন এই মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে।
দিনাজপুরের বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায় তোষা পাট মণপ্রতি বিক্রি হয় ৩১০০ টাকা থেকে ৩৩০০ টাকায়। অন্যদিকে দেশি পাট বিক্রয় করা হয় মণপ্রতি ২১০০-২৪০০। গত সপ্তাহের তুলনায় এ জেলায় তোষা পাটের দাম বেড়েছে ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা। অপরদিকে পাবনার বাজারে পাটের দাম ২৮০০ থেকে ৩২০০ টাকা।
দিনাজপুর জেলার সবচেয়ে বড় পাটের হাট খানসামা উপজেলার পাকেরহাটে বসে। সোমবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায় রাস্তার উভয় পাশে পাটবোঝাই ভ্যানগাড়ি সারি সারি করে দাড়ানো। লোড হচ্ছে ট্রাক্টরে কোথাও ডিজিটাল পাল্লায় মাপজোখ চলছে, কোথাও আবার পাট নিয়ে বাজারে আসামাত্রই দাম ঠিক হচ্ছে ।
পাকেরহাট বাজারে পাটের প্রতিমণ ধরা হচ্ছে ৪২ কেজিতে । একজন ব্যবসায়ীক প্রতিনিধি জানান তিনি এর আগে পাটের বাজারের এত উর্ধ্বগতি আগে দেখেন নি।
জানা যায় গত বছর মৌসুমের শেষে প্রতিমণ পাট ৬ হাজার টাকার বেশি দর ছিল। তাই মৌসুমি ব্যবসায়ীসহ অনেকেই এবার পাট কিনে মজুত করছেন। মিলমালিক বা তাদের প্রতিনিধিদের কাছে ভেড়ার আগেই পাট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
দিনাজপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায় যে, বিগত কয়েক বছর ধরে পাটের আবাদ কম ছিল। কিন্তু এবার আবাদ এবং উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি হয়েছে। ৩৯৩৬ হেক্টর জমিতে ৪১ হাজার ৬৮৯ মেট্রিক টন পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল এবছর। কিন্ত ৪৪২৬ হেক্টর জমিতে ৪৭ হাজার মেট্রিক টন পাট এর উৎপাদন হয়েছে।
বেড়া ও সাঁথিয়া উপজেলার কৃষকদের সাথে কখা বলে জানা যায়, প্রতি বিঘা জমিতে পাট উৎপাদন করতে খরচ হয়েছে ১২ হাজার-১৫ হাজার টাকা। বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ৮-১০ মণ। এতে প্রতি মণ পাটে কৃষকের লাভ হচ্ছে দেড় হাজার টাকার বেশি।
বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, চাষিরা দল বেঁধে জাগ দেওয়া ও আঁশ ছাড়ানোর কাজ করছেন। ’