Sunday, 14 December, 2025

নতুন চার ফসলে কৃষিঋণ দেবার নির্দেশনা


নতুন চার ফসলে কৃষিঋণ দেবার নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এদের মধ্যে রয়েছে সৌদি আরবের খেজুর ও ভিয়েতনামি নারিকেল। গত মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন চার ফসলে কৃষিঋণ দেবার এই প্রজ্ঞাপন দেশের সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী বরাবর পাঠানো হয়েছে।

এই নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২১-২০২২ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লী ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে বর্ণিত শস্য, ফসল, ফল-ফুল ইত্যাদির সঙ্গে আরও চারটি নতুন ফসল অন্তর্ভুক্ত হবে।

এগুলো হল সৌদির খেজুর, ভিয়েতনামি নারিকেল, সুইট কর্ণ ও কফি চাষ।

আরো পড়ুন
পাহাড়ে বারি-৪ লাউ চাষে সাফল্য: কাপ্তাইয়ের রাইখালী গবেষণা কেন্দ্রে বাম্পার ফলন
লাউ চাষের বাম্পার ফলন

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলাস্থ রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (পিএআরএস) বারি-৪ জাতের লাউ চাষে বড় ধরনের সাফল্য Read more

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান

বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে সকল পক্ষের স্বার্থকে সমন্বিত করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি Read more

সৌদির খেজুর চাষে একজন কৃষক একর প্রতি ১০ লাখ পাঁচ হাজার ৪০০ টাকার ঋণ পাবেন।

একজন কৃষককে ভিয়েতনামি নারিকেল উৎপাদনে চার লাখ ২৯ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হবে।

সুইট কর্ণ চাষে একর প্রতি ৬৬ হাজার টাকা দেয়া হবে। এছাড়া কফি চাষ করার জন্য কৃষককে একরে সর্বোচ্চ তিন লাখ ৮৪ হাজার টাকা ঋণ দেওয়া হবে।

এই নির্দেশনায় আরও বলা হয়, কৃষক সৌদির খেজুর, ভিয়েতনামি নারিকেল ও কফি চাষের জন্য সারা বছর ঋণ নিতে পারবেন।

তবে ১৫ নভেম্বর-১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুইট কর্ণে ঋণ দেওয়া হবে।

ফসল সংগ্রহের পর থেকেই ঋণ পরিশোধের স্বাভাবিক সময়সীমা শুরু হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষিখাতে ২৮ হাজার ৩৯১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

কৃষিঋণের বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না।

২০২০-২১ অর্থবছরে ঋণ বিতরণের ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা ছিলো।

ওই অর্থবছরে ব্যাংকগুলো লক্ষ্যমাত্রার ৯৭ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে সক্ষম হয়।

ব্যাংকগুলো বিতরণ করতে সক্ষম হয় ২৫ হাজার ৫১১ কোটি টাকা।

২০১৯-২০ অর্থবছরেও ব্যাংকগুলো কৃষিঋণ বিতরণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ব্যর্থ হয়।

২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষিঋণ ৫ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।

২০২০-২১ অর্থবছরে কৃষিঋণ আদায় হয়েছিলো ৬ হাজার ২৭৭ কোটি টাকা।

অন্যদিকে গত এপ্রিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে কৃষিখাতের জন্য।

প্যাকেজের আওতায় পোল্ট্রি, ডেইরি ও প্রাণিসম্পদ, হর্টিকালচার, ফুল, ফল, মৎস্যখাতে ৪ হাজার ২৯৫ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে গত ৩০ জুন পর্যন্ত।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত সেপ্টেম্বরে করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়ায় আরও ৩ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করে।

যাতে জামানত ছাড়াই ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক বর্গাচাষিরা।

২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত তহবিলের মেয়াদ হবে।

0 comments on “নতুন চার ফসলে কৃষিঋণ দেবার নির্দেশনা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ