অন্যদিকে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ধান সংগ্রহ হয়েছে ৪৮ হাজার ৬৫৭ দশমিক ৮৪০ মেট্রিক টন।
লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি অর্জন
গত ২৮ এপ্রিল থেকে বোরো ধান সংগ্রহ শুরু হয়। গত ৭ মে থেকে শুরু হয় চাল সংগ্রহ অভিযান। উভয়ই শেষ হয় ৩১ আগস্ট। চার জেলার ১৩টি উপজেলায় ধান কেনা হয়েছে সরাসরি এবং কৃষক অ্যাপ উভয় পদ্ধতিতে ।
সূত্রে আরও জানা যায় সুনামগঞ্জে ১৩৮৩৭ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল কেনার চুক্তির বিপরীতে ১১৬৭১ মেট্রিক টন কেনা হয়েছে । হবিগঞ্জে সেদ্ধ চাল কেনার ৭৫৯৮ মেট্রিক টনের চুক্তির বিপরীতে কেনা হয়েছে ৭৫৯৭ মেট্রিক টন। সিলেটে ৬ হাজার ৯০ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল কেনার চুক্তির বিপরীতে ৬ হাজার ২ মেট্রিক টন কেনা হয়েছে। মৌলভীবাজারে ৪৬৭১ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল কেনার বিপরীতে শতভাগ সংগৃহীত হয়েছে।
অন্যদিকে সুনামগঞ্জে ৯৯৭৭ মেট্রিক টন আতপ চাল কেনার চুক্তির বিপরীতে ৯৯৭৫ মেট্রিক টন চাল কেনা হয়েছে। সিলেটে ৩৮৮৬ মেট্রিক টন আতপ চালের শতভাগ কেনা হয়েছে। হবিগঞ্জে ২২৫৩ মেট্রিক টন আতপ চাল কেনার চুক্তির বিপরীতে ২২৫২ মেট্রিক টন কেনা হয়েছে। মৌলভীবাজারে ২০৫৭ মেট্রিক টন আতপ চাল কেনার চুক্তির বিপরীতে কেনা হয়েছে ২০৫৭ মেট্রিক টন।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুসারে বড় কৃষকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৩ টন, মাঝারি কৃষকদের কাছ থেকে ২ টন এবং ক্ষুদ্র কৃষকের কাছ থেকে ১ টন করে ধান কেনা হয়। একাধিক চালকলমালিক জানান, সরকারের বেঁধে দেওয়া দরের চেয়ে বাজারে প্রতি কেজি চাল ৫০ পয়সা থেকে ৭৫ পয়সা বেশি ছিল। কিন্তু লাইসেন্স বাতিল হবার আশঙ্কায় বাধ্য হয়ে কম দামে গুদামে চাল সরবরাহ করেছেন।
সিলেট সদর উপজেলার বেশ কিছু কৃষক জানিয়েছেন, বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকায় অনেকে গুদামে ধান দেননি। বাজারে ধানের দাম সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে কেজি প্রতি কয়েক টাকা বেশি ছিল।