ছাদে সহজ পদ্ধতিতে আঙ্গুর চাষ
যান্ত্রিক শহরে যান্ত্রিক মানুষ। একটু ফল খাবার কথা চিন্তা করতে গেলেই চলে আসে কেনার কথা। অবস্থা এমন হয়ে গেছে যে ভবিষ্যতে বিভিন্ন ফলগাছ দেখতে হয়তোবা মানুষ যাদুঘরে যাবার কথা ভাববে। কিন্তু ছাদবাগান সে অবস্থা থেকে কিছুটা হলেও মুক্ত করবে। যদিও এটি এখন কালচারে পরিণত হয়েছে। ছাদে অনেকেই আঙুর ফল চাষের চেষ্টা করেন। কিন্তু সঠিক পদ্ধতি না জানায় সফল হয়না অনেকে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক, কিভাবে ছাদে আঙুর চাষ হয়।
একটি হাফ ড্রামে আঙ্গুর ফলানো খুব সহজেই সম্ভব। আাঙ্গুর গাছ দেশে অবস্থানরত প্রায় সব নার্সারিতে পাওয়া যায়। সবচেয়ে উপযুক্ত হল কলমের চারা। জাতের মধ্যে ব্লাক রুবি(কালো), জাককাউ(সবুজ), ব্ল্যাকপার্ল খুব জনপ্রিয় ।
কিভাবে মাটি তৈরি করবেনঃ
১০০ গ্রাম হাড়ের গুড়া, ১০০ গ্রাম ডলচুন, ২০০ গ্রাম খৈল ও এর সাথে জৈব সার মিশিয়ে মাটি তৈরি করতে হবে। ৈএই মাটি ১০-১৫ দিন ফেলে রেখে দিতে হবে। আাঙ্গুর ফল চাষের জন্য পটাশ সারের প্রয়োজন হয় খুব বেশি । না হলে গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।গাছ ভেঙে যেতে পারে। ফলের মিষ্টতা কমে যেতে পারে এবং ফল ফেটে যেতে পারে । মাটির পিএইচ ৬.৫-৭.০ হলে তা আাঙ্গুর চাষের জন্য আদর্শ। আাঙ্গুরের চারা স্যাঁত স্যাঁতে মাটিতে বাড়তে পারে না।
মাচা কিভাবে তৈরি করবঃ
মাচা আাঙ্গুর গাছের জন্য অত্যাবশ্যক। মাচা দেবার জন্য ছাদের রেলিং থেকে ২ মিটার উঁচু করে এক মাথা থেকে অন্য মাথায় তার টেনে সহজে দেয়া যায়। মাচা শক্ত করে বানানো ভালো তার কারণ আঙুর দীর্ঘজীবী গাছ।
কখন ডাল ছাটাই করতে হবে
প্রতিবছর অবশ্যই আঙুরের ডাল ছাটাই করতে হবে। ডাল ছাটাইয়ের উপযুক্ত সময় হল জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস। শীতের সময় এর পাতা ঝরে যায়। বসন্ত কালে আবার নতুন শাখায় পাতা আসে এবং ফুল ধরে। ফল পেকে পুরো পরিপক্ক হতে প্রায় বর্ষাকাল হয়ে যায়। তাই শীতের শুরুতেই শাখা বা পুরনো ডাল ছাঁটাই করা ভালো।
ফলের আকার ও মিষ্টতা বৃদ্ধি করতে করণীয়
গাছের গোড়া থেকে কিছুটা দুরে গোলানো চুন ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়াযায়। এতে আাঙ্গুর মিষ্টি হয় এবং আকারেও গুণগত মানের হয়। প্রতি গাছে ২০ গ্রাম এমপি সার ১ লিটার অনুপাতে গাছের গোড়ায় আাঙ্গুর পাকার এক মাস আগে প্রয়োগ করলে মিষ্টতা বাড়ে। প্রচুর রোদ ও আালো বাতাস থাকতে হবে।