খুলনায় চালের দাম বেড়েছে ধানের ভরা মৌসুমেও। প্রতি কেজি চালে মানভেদে দুই থেকে তিন টাকা করে বাড়ে। ব্যবসায়ীরা এর জন্য ডিজেল ও ধানের দাম বাড়ার অজুহাত দিচ্ছেন। খুলনায় চালের দাম বেড়েছে বিধায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা।
অসাধু কারসাজির কারণে দাম বৃদ্ধির অভিযোগ
ক্রেতাদের অভিযোগ অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে চালের দাম বাড়ছে।
ক্রেতারা জানান যে, বড় বড় ব্যবসায়ীরা তাদের লাভ বাড়ানোর জন্য হঠাৎ করেই দাম বাড়িয়ে দেন।
প্রতিদিন চাল কিনতে কেজিতে দু-এক টাকা বেশি দেয়ায় হয়তো তেমন একটা ব্যাপার মনে হয় না।
কিন্তু কেউ বোঝে না যে এতে ব্যবসায়ীর ঘরে কোটি কোটি টাকা চলে যায়।
তবে কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই।
তবুও চালের দাম বাড়ার কোন কারণ কেউ বলতে পারেন না।
ব্যবসায়ীরা আরও জানান যে, চালের দাম হঠাৎ করে বেড়ে গেলে নানামুখী কথার সম্মুখীন হতে হয় বিক্রেতাদের।
ক্রেতারা দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কোন সদুত্তর তারা দিতে পারেন না।
দোলখোলা বাজারের ব্যবসায়ী কামরুল ইসলাম।
এই ব্যবসায়ী বলেন, চালের দাম হঠাৎ করেই বেড়েছে।
চিকন চালের মৌসুম শেষ বিধায় বাজারে চালের ঘাটতি রয়েছে।
ভারতীয় চালের আমদানি হলে বাজারে দর কিছুটা কমতে পারে।
বড় বাজারের চাল ব্যবসায়ী মেসার্স শংকর কুন্ড এন্টারপ্রাইজের মালিক শংকর কুন্ডু।
তিনি বলেন, কিছু কিছু চালের দর বেড়ে গেছে।
মিল মালিকরা চালের দাম বাড়িয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন এই ব্যবসায়ী।
অনেক কৃষক এখনো জমির ধান কাটতে পারেনি কিছু দিন আগের বৃষ্টির ফলে ক্ষেতে পানি জমে থাকার কারণে।
মিল মালিকরা এখনোতেমন চাল উৎপাদনে যেতে পারেনি।
এই ব্যবসায়ী দাম কমাতে ভারতীয় চাল আমদানির ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন।
অপর এক ব্যবসায়ী জানান, গেল দুবছরের তুলনা এবার ধানের দাম বেশি।
ব্যাপারী থেকে মিলের সংখ্যাও এখন অনেক বেশি।
যা ধান পাওয়া যাচ্ছে তাই মিলাররা অধিক দর দিয়ে কিনছেন।