Saturday, 13 December, 2025

কচুর মুখিতে সাফল্য পেয়েছে গাইবান্ধার কৃষকেরা


কচুর মুখিতে সাফল্য পেয়েছে গাইবান্ধার চার উপজেলার কৃষকরা। এ জাতের কচু চাষ করে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায়  পরিবারের পুষ্টি চাহিদা পূরণ করেছেন তারা। পাশাপাশি আর্থিকভাবে তারা লাভবান হচ্ছেন। আর শত শত নারীর কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে কচু প্রক্রিয়াজাত কাজে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাব অনুসারে এবার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে কচুর মুখি চাষ হয়েছে এ জেলায়।

কৃষি বিভাগের হিসাব অনুসারে গাইবান্ধার মাটি ও আবহাওয়া কচুর মুখি চাষের উপযোগী। বিশেষ করে সাঘাটা, গোবিন্দঞ্জ, পলাশবাড়ী ও গাইবান্ধা সদর উপজেলার  মাটি ও আবহাওয়া খুব উপযোগী। কচুর মুখি চাষাবাদে খরচ অনেক কম। তাই ৪ উপজেলার প্রায় ২ হাজার কৃষক এবার কচুর মুখি চাষ করেছেন। মহিমাগঞ্জ, পবনাপুর, জামালপুর, কিশোরগাড়ি, গাইবান্ধার বোয়ালীসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকেরা এবার কচুর মুখি চাষ করেছেন।

আরো পড়ুন
পাহাড়ে বারি-৪ লাউ চাষে সাফল্য: কাপ্তাইয়ের রাইখালী গবেষণা কেন্দ্রে বাম্পার ফলন
লাউ চাষের বাম্পার ফলন

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলাস্থ রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (পিএআরএস) বারি-৪ জাতের লাউ চাষে বড় ধরনের সাফল্য Read more

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান

বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে সকল পক্ষের স্বার্থকে সমন্বিত করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি Read more

আগের চেয়ে অনেক ভালো ফলনও হয়েছে। গাইবান্ধার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে সবুজ আর সবুজ কচু পাতা দেখা যায়। কেউ কেউ মাটির নিচ থেকে হাতড়িয়ে কচু উত্তোলন করছেন, আবার বাজারজাত করতে মাটি পরিষ্কার করছেন অনেকে। আবার পানিতে ধুয়ে বিক্রি করছেন।

গ্রামের কচু চাষিরা জানান, ৪ বিঘা জমিতে এবার কচু চাষ করেছেন। বিঘা প্রতি ১২ হাজার টাকা খরচ হলেও তা বিক্রি হবে অন্তত ৪০ হাজার টাকা।

পলাশবাড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, কয়েকটি ইউনিয়নে কচুর চাষ হয়ে থাকে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কচুর পাইকার বা ক্রেতা আসেন ট্রাক নিয়ে কেনার জন্য।

সাদুল্লাপুরের রসুলপুর ইউনিয়নের কচু চাষি জানান, এসব কচু তোলা, ধোয়া থেকে প্রক্রিয়াকরণ কাজে শত শত নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে । তারা বাড়ির কাজ শেষ করে বাড়তি সময়ে দিনে ১ থেকে ২ মণ কচু পরিষ্কার করতে পারেন। এতে দৈনিক ৮০ থেকে ১০০ টাকা আয় করছেন তারা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদ্প্তরের উপ-পরিচালক হিসেবে কর্মরত আছেন মো. মাসুদার রহমান। তিনি বলেন, চার উপজেলার উৎপাদিত কচু জেলার চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি রাজধানী ঢাকা, নারায়নগঞ্জ, চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পৌছে যাচ্ছে এই কচু। এ ধরনের কচু চাষে কৃষকরা লাভবান হবার কারণে এবার জেলায় কচু চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে অল্প খরচে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি জেলার সবজি চাহিদা পুরণ হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেন এ কর্মকর্তা।

0 comments on “কচুর মুখিতে সাফল্য পেয়েছে গাইবান্ধার কৃষকেরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ