Sunday, 14 December, 2025

উত্তরাঞ্চলে আলুর দাম কমেছে, মাথায় হাত চাষিদের


দেশের উত্তরাঞ্চলে আলুর দাম কমছে। অথচ কিছুদিন আগেও রংপুরের তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জে স্থানীয় হাটবাজারের আলুর আড়তে ও হিমাগারগুলোতে দাম বেশি ছিল। ৫০ কেজি বস্তা তখন  বিক্রি হয়েছে ৭৫০-৮০০ টাকায়। কিন্তু সেই আলু ই এখন প্রতি বস্তা গড়ে ১৫০ টাকা কমে বিক্রি করা হচ্ছে।

চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান যে বিগত মৌসুমে তারাগঞ্জ ও বদরগঞ্জে বিপুল পরিমাণ আলুর চাষ হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে আলুর ভালো দাম ছিল। এর ফলে চাষিরা আলু চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েন। এমনকি  একই কারনে ব্যবসায়ীরাও বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আলুর চাষ করেন ।

কৃষি বিভাগ থেকে খোজ নিয়ে জানা যায় যে তারাগঞ্জে ৪২০০ হেক্টর এবং বদরগঞ্জে ৩২৬৫ হেক্টর জমিতে গত বছর আলুর চাষ হয়েছিল। বেশি দাম ও বেশি লাভের আশায় আলুচাষি ও ব্যবসায়ীরা মোত ৬টি হিমাগারে আলু রাখেন। কিন্তু দাম বর্তমানে অনেক বেশি পড়ে যাওয়ায় মাথায় হাত দিয়েছেন  তাঁরা। তারাগঞ্জের হিমাগারে প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার  ও বদরগঞ্জের হিমাগারে ২ লাখ ৮০ হাজার বস্তা আলু এখনো অবিক্রীত রয়েছে।

আরো পড়ুন
পাহাড়ে বারি-৪ লাউ চাষে সাফল্য: কাপ্তাইয়ের রাইখালী গবেষণা কেন্দ্রে বাম্পার ফলন
লাউ চাষের বাম্পার ফলন

দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলাস্থ রাইখালী পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (পিএআরএস) বারি-৪ জাতের লাউ চাষে বড় ধরনের সাফল্য Read more

সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান: উপদেষ্টা ফরিদা আখতার
সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ রক্ষায় সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান

বাংলাদেশে সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে সকল পক্ষের স্বার্থকে সমন্বিত করে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি Read more

তারাগঞ্জের মেনানগর গ্রামের আলুচাষি জানান যে তিনি ১৫ একর জমিতে আলুর চাষ করেছিলেন। বীজ, কীটনাশক ও শ্রমিকের মজুরি, হিমাগার মিলিয়ে উৎপাদন খরচ হয়েছে বেশি। তিনি জানান যে আলুর বস্তা হিমাগারে রাখতে খরচ ৮০০ টাকা কিন্তু বর্তমানে বাজার দর ৬০০ টাকা। লাল জাতের আলুও উৎপাদন ও রাখতে খরচ হয়েছে ৮৫০ টাকা কিন্তু বাজারে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকায়।

হাজীপাড়া গ্রামের কৃষক জানান গত বছর কেজিতে ২০ টাকা করে লাভ করেছিলেন দেখে এ বছর বেশি করে আবাদ করেছিলেন। কিন্তু দাম পড়ে যাওয়ায় চোখে অন্ধকার দেখছেন।

সরকারপাড়া গ্রামের আরেক আলুচাষি জানান যে আলু উতপাদনে খরচ ৭৭০ টাকা হয়েছে।, কিন্তু এখন সেই আলু বিক্রি করেছেন ৬০০ টাকায়। এভাবে হলে চাষিরা বাচতে পারবে না বলে তিনি মনে করেন।

তারাগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান যে, মৌসুমে বীজের দামও বেড়ে গেছিল।  আলুর উৎপাদন খরচ সেকারনে বেশি হয়েছে। তাছাড়া অতিবৃষ্টি না হওয়ায় শাকসবজির ফলনও ভালো ছিল। যার ফলে আলুর দামে প্রভাব পড়েছে।

0 comments on “উত্তরাঞ্চলে আলুর দাম কমেছে, মাথায় হাত চাষিদের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ