দেশে প্রচুর পরিমানে ইউরিয়া সার ব্যাবহার হয়। তাই অপ্রয়োজনে ইউরিয়া সার ব্যাবহার বন্ধে নতুন করে দাম বাড়ানো হয়েছে। এমনটাই জানালেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমাতে হবে।
তাই দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে।
সব ধরনের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে দেশে।
সেকারণে সারের মূল্যবৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে কোথাও কোথাও কৃত্রিম সংকট তৈরি করা হতে পারে।
এমন যেন না হয় সে জন্য সরকার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
সেই সাথে মন্ত্রী হুশিয়ারি দেন সংকট সৃষ্টিকারীদের।
কেউ এতে জড়িত থাকলে তাকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মন্ত্রী মতবিনিময় করেন।
এসময় মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এ সময় কৃষিসচিব মো. সায়েদুল ইসলাম ও মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস করা জরুরী বলে জানান মন্ত্রী।
এর বদলে ডিএপি সারের ব্যবহার বৃদ্ধিতে বেশি করে গুরুত্বারোপ করেন কৃষিমন্ত্রী।
মন্ত্রীর মতে, ডিএপি সার মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা, মানসম্পন্ন ফসল উৎপাদনে কার্যকর।
তা ছাড়া এটি একটি পরিবেশবান্ধব সার।
এতে শতকরা ১৮ ভাগ নাইট্রোজেন আছে যা মূলত ইউরিয়া সারের উপাদান।
সে জন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
সেই উদ্যোগ এর অংশ হিসেবে সরকার ডিএপি সারের মূল্য কমিয়েছে।
এ উদ্যোগের ফলাফল স্বরূপ বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বেড়ে গেছে বলে জানা যায়।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, জমিতে সুষম সার প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাই ইউরিয়া সারের বর্তমান ব্যবহার কমপক্ষে ২০ ভাগ কমাতে হবে।
একইসাথে সকল ধরনের সারের ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে হবে।
এতে ফসলের উৎপাদনে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
অন্যদিকে ফসলের উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। একই সঙ্গে কৃষকের উৎপাদন খরচও অনেক কমে যাবে।
কৃষিমন্ত্রী জানান বছরে ৩২ লাখ টনের বেশি নন ইউরিয়া সার ব্যবহার করা হয়।
এর পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করা হয় বলে জানা যায়।
আন্তর্জাতিক বাজারে এ সকল সারের দাম চার গুণ বেড়েছে।
কিন্তু আমাদের দেশে এসব সারের দাম বাড়ানো হয়নি।
আর সে কারনে ইউরিয়া সারের দাম কেজিতে ছয় টাকা বেড়েছে।
এতে ফসলের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বলেই তিনি মনে করেন