নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ ধরার অপরাধে ভোলায় গত ৮ দিনে ১৩১ জেলেকে জেল-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদের মধ্যে ৮৯ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ৪২ জনকে জরিমানা করা হয়। এছাড়াও দেড় মেট্রিক টন ইলিশ ও ২ লাখ ৪০ হাজার মিটার জাল জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) জেলা মৎস্য অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।
সূত্র জানায়, ১ মার্চ থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত জেলার ৭ উপজেলায় মৎস্য বিভাগের ৪৮টি অভিযান পরিচালিত হয়েছে। যার মধ্যে ২২টি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ১৩১ জনের কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে।
ভোলা সদরে ১০ অভিযানে ৪৩ জেলে আটক হয়েছে। যার মধ্যে ৩০ জনের জেল ও ১৩ জনের জরিমানা। বোরহানউদ্দিনে ১৪ অভিযানে ৯ জনের কারাদণ্ড ও ১৫ জনের জরিমানা, লালমোহনে ৭ অভিযানে ২ জনের কারাদণ্ড ও ৫ জনের জরিমানা ও চরফ্যাশনে ৬৭ অভিযানে ৪৮ জনের কারাদণ্ড ও ১৯ জনের জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম জানিয়েছেন, জেলারা যাতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে নদীতে মাছ ধরতে না পারে সেজন্য মৎস্যবিভাগের নিয়মিত অভিযান চলছে। যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকারে নদীতে নামছে তাদের আটক করছে অভিযান টিম।
জেলেরা যেন ইলিশ ধরা থেকে বিরত থাকে সেজন্য মৎস্য ঘাটগুলোতেও প্রচার-প্রচারণা মাইকিং, লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে।
ভোলার ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত মেঘনা নদীর ৯০ কিলোমিটার এবং ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার জলসীমায় ইলিশের অভায়শ্রম। তাই মার্চ-এপ্রিল দুই মাস মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে মৎস্যবিভাগ।