বাগদা চিংড়ির (ব্ল্যাক টাইগার) চেয়ে ভেনামির উৎপাদন খরচ প্রায় অর্ধেক। তারপরও বাংলাদেশে কেন বাড়ছে না ভেনামি চিংড়ির বানিজ্যিক চাষ ?
ভেনামি চিংড়ি কি ?
ভেনামি চিংড়ি পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের একটি প্রজাতি। উচ্চ উৎপাদনের পাশাপাশি এর রোগ প্রতিরোধক্ষমতার জন্যও এটি এখন সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে চাষ হচ্ছে।
ভেনামি চিংড়ির ইংরেজি নাম “হোয়াইটলেগ শ্রিম্প” বা সাদা পায়ের চিংড়ি। শুধু পা দেখতে সাদা এমন নয়, পুরো চিংড়িই দেখতে সাদাটে। অনেকটা স্থানীয় জাতের “হরিণা” চিংড়ির মতো। ফলে প্রথম দেখায় “হরিণা” ভেবে ভুল করেন অনেকে। বর্তমানে চীন, ভারত, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, একুয়েডর, মেক্সিকো ইত্যাদি দেশে চাষ হচ্ছে।
বাংলাদেশে ভেনামি চিংড়ি চাষের প্রতিবন্ধকতা কি ?
দেশে ভেনামি চিংড়ির পরীক্ষামূলক চাষ শুরু হয় ২০১৯ সালে। চার পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ২০২৩ সালের ২৯ মার্চ রপ্তানি আয় বাড়াতে খুলনা অঞ্চলে এই চিংড়ির বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। চাষেও মিলেছে সফলতাও।
বাংলাদেশে ভেনামি চিংড়ি চাষের প্রতিবন্ধকতা রয়েছে
১। সরকারের অনুমোদন- চিংড়ি চাষের পূর্বে সরকারে অনুমোদন প্রয়োজন হয়। যা ভেনামি চিংড়ি চাষকে নিরোৎসাহিত করে
২। পোনার অভাব- চিংড়ি পর্যাপ্ত পোনা বা পোষ্ট লার্ভার অভাব।
৩। এসবের পরে রয়েছে দেশে ঔষধ ও খাবারের অভাব। দেশের বাহির থেকে ভেনামি চিংড়ির খাবার ও ঔষধ আমদানি করতে হয়।
৪। উন্মুক্ত জলাশ্বয়ে ভেনামি চাষের অনুমতি দেয়া হয় না।
পরিক্ষামূলক চাষে লাভের পর ও উপরোক্ত প্রতিবন্ধকতার কারনে এখন বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়েছে ভেনামি চিংড়ির বানিজ্যিক চাষ।