টমেটো একটি জনপ্রিয় সবজি। সালাদ, ডাল এবং তরকারি হিসাবে রয়েছে টমেটোর জনপ্রিয়তা। আগে টমেটো সাধারণত কৃষকের মাঠে রবি মৌসুমে অর্থাৎ শীতকালে চাষ করা হতো। তবে এখন তা টবে বা বাড়ির আঙ্গিনায় সারা বছরই চাষ হয়ে থাকে।
টমেটোর পাতা কোকড়ানো একটি অন্যতম রোগ। টমেটোর হলুদ পাতা কোকড়ানো রোগটি ভাইরাসজনিত রোগ এবং সাদা মাছির আক্রমণে এর বিস্তার হয়ে থাকে।
টমেটো পাতা কোঁকড়ানো রোগের লক্ষণ
১. গাছ খর্বাকৃতির হয়ে যায় এবং পাতা পীত বর্ণ ধারণ করে। পাতায় ঢেউয়ের মত খাঁজ সৃষ্টি হয় ও পাতা ভীষণভাবে কুঁকরিয়ে যায়। পাতা কিনারা থেকে মধ্য শিরার দিকে গুটিয়ে যায়।
২. আক্রান্ত গাছের ডগার পাতা ছোট ছোট গুচ্ছ আকার ধারণ করে।
৩. পাতা খসখসে হয়ে শিরাগুলো স্বচ্ছ হলুদ হয়ে কুঁচকিয়ে যায়।
৪. বয়স্ক কোকড়ানো পাতা পুরু ও মচমচে হয়ে যায়।
৫. আক্রমণের মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে পাতা মরে যায়।
৬. গাছে অতিরিক্ত শাখা হয় এবং স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়ায় ফুল ও ফলন একেবারেই কমে যায়। আগাম আক্রমন হলে ফলন একদমই হয় না।
হলুদ পাতা কোঁকড়ানো রোগে করণীয়
১. আগাছা দমনে সতর্কতা। টমেটোর জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
২. বীজ নির্বাচনে সতর্কতা। সুস্থ চারা রোপন করতে হবে এবং সুস্থ গাছ থেকে পরবর্তী মৌসুমের জন্য বীজ সংগ্রহ করতে হবে।
৩. সাদা মাছির হাত থেকে রক্ষা পেতে ক্ষুদ্র ছিদ্রযুক্ত (প্রতি বর্গ ইঞ্চিতে ৪০-৫০টি ছিদ্র) নাইলনের নেট দিয়ে বীজতলা ঢেকে চারা উৎপাদন করতে হবে।
৪. যেহেতু সাদা মাছির আক্রমণে এই রোগের ভাইরাস বিস্তার লাভ করে তাই সাদা মাছি দমনের জন্য চারা লাগানোর এক সপ্তাহ পর থেকে ফুল আসা পর্যন্ত ১৫ দিন পরপর কমপক্ষে ২ বার স্পর্শ জাতীয় বিষ স্প্রে করতে হবে।
বিষ স্প্রে করার নিয়ম যেমন- ইমিডাক্লোপ্রিড গ্রুপের অ্যাডমায়ার বা টিডো ০.৫ মিলি/লিটার পানিতে বা ইমিটাফ ১ মিলি/৫ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।
টবে ক্যাপসিকাম চাষ করলে পেতে পারেন বিষমুক্ত ফসল – টবে ক্যাপসিকাম চাষের বিস্তারিত