বিস্তীর্ণ বোরো ক্ষেতে ব্লাস্ট রোগ ও হিটস্ট্রোকে দেখা দিয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে ধানে চিটা দেখা দিয়েছে বলে ধারণা কৃষি বিভাগের। এদিকে ধান ক্ষেতে ইঁদুরের উপদ্রুবও দেখা দিয়েছে বলে জানান কৃষকরা।
জানা যায়, উপজেলার বোতলাগাড়ি, বাঙালিপুর, কামারপুকুর ও খাতামধুপুর ইউনিয়নের বেশকিছু বোরো ক্ষেতের পাকা ধান কেটে ঘরে তোলার অপেক্ষা কেবল। কিন্তু বাস্তবে বিষয়টি পুরোপুরিই ভিন্ন। জমিতে ধান আছে। পাকা রংও ধারণ করেছে। অথচ ধানে দানা নেই। আছে চিটা। পুড়ে পাকা বাদামি হয়ে আছে ধান। ব্লাস্ট ও হিটস্ট্রোক ছড়িয়ে পড়ায় উঠতি বোরো ধান বিবর্ণ হয়ে যাচ্ছে। ধানে চিটা দেখা দিয়েছে। এতে ধানের উৎপাদন অর্ধেকে নেমে আসবে বলে জানান কৃষকরা।
উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের দলুয়া চৌধুরীপাড়ার কৃষক আমিনুল হাসানের সঙ্গে কথা হয়।
তিনি বলেন, ১০/১২ বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করেছি। এরই মধ্যে দক্ষিণের দোলা ও দলুয়ার দোলার ৩ বিঘা জমিতে ব্লাস্ট রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। ধানের শীষে চিটা দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন ছত্রাকনাশক ওষুধ ব্যবহারেও ফল মিলছে না। এতে ফসলের উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের বেংমারী গ্রামের কৃষক আব্দুল কাদের বলেন, ব্লাস্টের কারণে কৃষকরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। পরিত্রাণের উপায় কী তা আমরা জানিনা।
বাঙালিপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর ইউনিয়নের কৃষক রেজাউল করিম জানান, দিনে গরম ও রাতে শীত এই বিপরীতমুখি আবহাওয়ার কারণে বোরো ক্ষেতে নানা রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। বিশেষ করে ব্লাস্ট, হিটস্ট্রোক ও ইঁদুরের উপদ্রবে কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কৃষি বিভাগের তৎপরতা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহিনা বেগম বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে ধান ক্ষেত। কিছু জমিতে ব্লাস্ট রোগও ছড়িয়ে পড়ছে। তবে উদ্বেগের তেমন কোনো কারণ নেই। পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। করোনাকালেও কৃষি বিভাগ পাশে রয়েছে কৃষকদের।