মাসরুম খাওয়ার নিয়মঃ
মাশরুম (Mushroom) একপ্রকার অপুষ্পক উদ্ভিদ। এতে সবুজ কণা (Chlorophyll) নাই বিধায় সবুজ কণাযুক্ত উদ্ভিদের মতো নিজের খাদ্য নিজে প্রস্তুত করতে পারে না।
মাশরুম দেখতে যেমন সুন্দর খেতেও তেমনই যেমন সুস্বাদু। মাশরুমকে হালকা ফ্রাই করে বানানো কারি বা স্যুপ হিসাবে খাওয়া যায়। মাসরুমে খেলে শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।
মাসরুম (Mushroom) খাওয়ার উপকারিতাঃ
মাশরুমে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, প্রোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, ভিটামিন ডি, মিনারেল, অ্যামাইনো অ্যাসিড, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ।
এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় তা রক্তশূন্যতাজনিত সমস্যা দূর করতে পারে।
মাশরুম রক্তে চিনির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে মাশরুমের রয়েছে পটাসিয়াম।
মানুষের শরীরের দুটি প্রয়োজনীয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পলিফেনল ও সেলেনিয়াম রয়েছে মাশরুমে। এগুলো
স্ট্রোক,নার্ভের রোগ এবং ক্যানসার থেকে শরীরকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। মূলত স্তন ক্যানসার এবং প্রস্টেট ক্যানসার প্রতিরোধ করতে মাশরুমের কোনও তুলনা নেই।
ক্যালসিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিতে ও গাঁটের ব্যথা কমাতে মাশরুমের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে।
মাশরুমে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ডি।
সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে খেতে পারেন মাশরুম, কারণ এটি ত্বককে নরম রাখতে সাহায্য করে।
মাশরুমে থাকা এনজাইম খাবার হজম করায় ও অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কাজ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
বয়সজনিত কারণে যে স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়ার রোগ প্রতিরোধ করে মাশরুম।
নিয়মিত মাশরুম খেলে হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিস প্রতিরোধ করাও সম্ভব।
মাশরুমে সোডিয়ামের পরিমাণ খুব কম, এটি কিডনি-সংক্রান্ত রোগ হওয়া থেকেও বাঁচাতে পারে।
কোলেস্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান এরিটাডেনিন, লোভাস্ট্যাটিন, এনটাডেনিন, কাইটি রয়েছে মাশরুমে। তাই মাশরুমকে খাদ্য তালিকায় রাখলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।