Saturday, 21 December, 2024

সর্বাধিক পঠিত

তড়কা রোগের লক্ষন,চিকিৎসা এবং করনীয়

চাষির প্রশ্নCategory: গবাদি পশু ও পাখি পালনতড়কা রোগের লক্ষন,চিকিৎসা এবং করনীয়
রিশিকেশ asked 3 years ago

গরুর শরীরের অনেক জ্বর শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়। কাপুনি ও পরবর্তীতে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। তড়কা রোগের লক্ষন,চিকিৎসা এবং করনীয় নিয়ে জানতে চাই।

1 Answers
এগ্রোবিডি২৪ Staff answered 3 years ago

তড়কা এটি গবাদিপশু ব্যাকটেরিয়াজনিত একটি মারাত্মক সংক্রামক রোগ।

তড়কা রোগের লক্ষণঃ

উচ্চ তাপমাত্রা, অস্বত্তি ও শ্বাস-প্রশ্বাস দ্রুত হয়। মাংশ পেশীর কাঁপুনি ও পরবর্তীতে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। মৃত্যুর পর নাক, মুখ, প্রস্রাব ও মলদ্বার দিয়ে রক্ত বা রক্ত মিশ্রিত রস বের হয়।

তীব্র প্রকৃতির ক্ষেত্রে চিকিৎসার অভাবে দু এক দিনের মধ্যে মৃত্যু ঘটে। অতিতীব্র প্রকৃতির ক্ষেত্রে লক্ষণ প্রকাশের পূর্বেই পশুর আকস্মিক মৃত্যু হয়। এই জীবাণু মানুষের দেহে সংক্রমিত হয় এবং কারবাংকল রোগের সৃষ্টি করে।

করনীয়ঃ

আক্রান্ত পশুকে সুস্থ পশু থেকে আলাদা রাখতে হবে। অতি দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। কোন অবস্থায়ই মৃত পশুর চামড়া ছাড়ানো যাবে না। মৃত দেহ কোন অবস্থায়ই খোলা মাঠে রাখা বা পানিতে ভাসিয়ে দেয়া যাবেনা। মৃত পশুকে পুঁতে রাখতে হবে।

মৃত পশুর রক্তে যে রোগ জীবানু থাকে তা মাটিতে কুড়ি বৎসর পর্যন্ত জীবিত থেকে অন্য পশুতে সংক্রমিত হতে পারে। গর্ত করে গর্তে চুন ছিটিয়ে দিলে তা এ রোগ জীবাণুকে ধবংস করতে পারে। পশুর বাসস্থানে মাঝে মাঝে জীবাণুনাশক ঔষধ ছিটিয়ে দিতে হবে। এই জন্য চুন স্বল্পমূল্যের উৎকৃষ্ট জীবাণুনাশক। সুস্থ পশুকে প্রতি বৎসর একবার টিকা দিতে হবে।

প্রতিষেধকঃ

সুস্থ্য পশুকে ছয় মাস পর পর নিয়মিত টিকা দিতে হবে।

তড়কা রোগের চিকিৎসাঃ

পেনিসিলিন গ্রুপের ইনজেকশন নির্ধারিত মাত্রায় ৪- ৫ দিন ব্যবহার করতে হবে।

জনপ্রিয় লেখা