নওগাঁয় ইরি-বোরো ধানে বাদামী গাছ ফড়িং (কারেন্ট পোকা) আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কিটনাশক স্প্রে করেও পোকা দমন করতে পারছেন না কৃষকরা।
বাধ্য হয়ে জমির আধা-পাকা ধান কাটছেন তারা। প্রতি বিঘা জমিতে যেখানে ২০-২২ মণ হারে ফলন হওয়ার কথা অথচ কারেন্ট পোকার আক্রমণে প্রায় তার অর্ধেক ফলন হচ্ছে।
জানা গেছে, কারেন্ট পোকা খুবই ক্ষতিকর। ধান পাকার মহূর্তে আক্রমণ করায় ধান খেতে মাত্র ১/২ দিনের মধ্যেই গাছের রস চুষে খায়। এছাড়াও জেলার মহাদেবপুরের ভীমপুর, গনেষপুর, তেজপাইন, রসুলপুর, পিড়া ও চেরাগপুর ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের মাঠে কারেন্ট পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কৃষকরা উপ-সহকারি কৃষি অফিসার ও কিটনাশক দোকানিদের পরামর্শে বিভিন্ন কোম্পানীর কিটনাশক জমিতে স্প্রে করেও পোকা দমন করতে পারছেন না।
ভীমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য বিপুল কুমার হাজরা বলেন, ‘বিভিন্ন কিটনাশক ব্যবহার করেও পোকা দমন করতে না পেরে অবশেষে আধাপাকা ধান জমি থেকে কাটতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। এমনকি যে জমিতে ধান আজ ভালো আছে আগামীকাল সেগুলোতেও কারেন্ট পোকা আক্রমণ করছে। ভয়ানক এ পোকা আক্রমণের মাত্র ১/২ দিনের মধ্যেই নষ্ট করে দিচ্ছে ধান ক্ষেত।’
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল ওয়াদুদ জানান, ‘ইরি বোরো রোপণের শুরু থেকেই মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে আসা হয়েছে। তবে দুই এক জায়গায় ধানের ক্ষেতে বাদামী গাছ ফড়িং আক্রমণ করেছে। এজন্য নিয়মিত কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও শেষ মহূর্তে ধান পাকার পর্যায়ে আক্রমণ করায় তেমন বড় ধরনের ক্ষতি না হওয়ার আশা করছি।’