Friday, 26 September, 2025

সবজি-মুরগির দামে অস্বস্তি


সব ধরনের সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। কিছুদিন আগেও যেসব সবজি ২০ থেকে ৩০ টাকার বিক্রি হতো তা এখন ৫০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সব ধরনের মুরগি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। গরু ও খাসির মাংস দীর্ঘদিন ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ, রসুনের দাম ক্রেতাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে।

শুক্রবার (২ এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ পরিস্থিতি দেখা গেছে।

দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা। লাল লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকা। আর পাকিস্তানি কক মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা।

আরো পড়ুন
ধানের বাম্পার ফলন: ফুল ফোটার সময় কৃষকের করণীয়

বাংলাদেশের প্রধান খাদ্যশস্য ধান। এ দেশের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা এই ফসলের উপর অনেকটাই নির্ভরশীল। ধানের ফলন বাড়াতে হলে এর Read more

ঢাকায় শুরু হলো আগ্রোফরেস্ট্রি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলন

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং গ্রামীণ জীবিকা উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী আঞ্চলিক বিশেষজ্ঞ বৈঠক। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫) Read more

বাজারে নতুন আসা সজনে ডাটার দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। তবে এখন এই সবজিটি এক কেজি কিনতে ক্রেতাদের একশ টাকা গুনতে হচ্ছে। বাজার ও মানভেদে সজনে ডাটার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

সজনে ডাটার পাশাপাশি চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে পটল, বরবটি, বেগুন, ঢেঁড়স। পটলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। ঢেঁড়সের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।

তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে লাউ। মাঝারি আকারের একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪০ থেকে ৫০ টাকা।

এর সঙ্গে দাম বেড়েছে ফুলকপি, বাঁধাকপি ও শিমের। ২০ থেকে ৩০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া ফুলকপি ও বাঁধাকপির দাম বেড়ে ৩০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া শিমের দাম বেড়ে ৪০ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

নতুন করে দাম না বাড়লেও ধুন্দল, চিচিঙ্গা কিনতেও ভোক্তাদের ৫০ টাকার ওপরে গুনতে হচ্ছে। বাজার ও মানভেদে ধুন্দলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে চিচিঙ্গা। শশা আগের সপ্তাহের মতো ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে এখন ৫০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে পাকা টমেটো ও পেঁপে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে পাকা টমেটোর দাম কিছুটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া পাকা টমেটোর দাম বেড়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। পেঁপের কেজি আগের মতো ৩০ থেকে ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। গাঁজরের কেজিও আগের সপ্তাহের মতো ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

সবজির দামের বিষয়ে কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী আলামিন বলেন, শীত চলে যাওয়ায় সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। সামনে সবজির দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এখন বেশি দামে বিক্রি হাওয়া পটল, ঢেঁড়সের দাম সামনে কমে যাবে।

খিলগাঁওয়ের ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান বলেন, কম দামে সবজি খাওয়ার দিন শেষ। এখন টমেটোর কেজি ৩০ টাকা পাওয়া যাচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে এই দাম বেড়ে যাবে বলে আমাদের ধারণা।

এদিকে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। পেঁয়াজের পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে রসুন, আদা এবং ডিম। ফার্মের মুরগির ডিম ডজন বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা। দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে দেশি আদা।

পেঁয়াজের দামের বিষয়ে মালিবাগ হাজীপাড়ার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর বলেন, পেঁয়াজের দাম কখন বাড়ে, আবার কখন কমে বলা মুশকিল। তারপরও বাজারের চিত্র দেখে মনে হচ্ছে রোজার আগে পেঁয়াজের দাম বাড়ার সম্ভাবনা কম।

0 comments on “সবজি-মুরগির দামে অস্বস্তি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ