Saturday, 02 August, 2025

যেভাবে এলো কৃষিবিদ দিবস


বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সংবর্ধনা সভায় যোগদান দেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (বাকসু) ওই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

তৎকালীন বাকসুর সাধারণ সম্পাদক ছিলেন বর্তমান কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক।

মুক্তিযুদ্ধের পর যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা ও খাদ্যাভাব থেকে উত্তরণের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কৃষিবিদদের গুরুত্বের কথা বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন তিনি। এদিনে তিনি কৃষিবিদদের চাকুরী ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণীর পদমর্যাদা ঘোষণা দেন।

আরো পড়ুন
২৫ টি বিপজ্জনক বালাইনাশকে হুমকির মুখে জনস্বাস্থ্যঃবাকৃবি

মানুষের মৌলিক চাহিদা খাদ্যের উৎপাদনই এখন মারাত্মক ঝুঁকিতে। অধিক ফলনের আশায় কৃষিতে হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল জাতের ফসলের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে Read more

বীজ উদ্ভাবনের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নে এসিআই-এর অগ্রণী ভূমিকাঃ ড. এফ এইচ আনসারী

বাংলাদেশের কৃষি খাতে গত তিন দশকে অসাধারণ অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এই অগ্রগতির সাক্ষী হিসেবে আমি এই খাতের একজন কর্মী হিসেবে Read more

তাঁর ঐতিহাসিক ঘোষণার পথ ধরেই কৃষিবিদগণ আজ সরকারি চাকরি ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত। সেই ঐতিহাসিক ঘোষণা আজও বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজ চত্বরে স্লোগান হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধুর অবদান-কৃষিবিদ ক্লাস ওয়ান’ সোচ্চার কন্ঠে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি জাগানিয়া ঐতিহাসিক স্থানটি চিহ্নিত করে গড়ে তোলা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি চত্বর’। পরে ২০১০ সালের ২৭ নভেম্বর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের (কেআইবি) এক সাধারণ সভায় দিনটিকে ‘কৃষিবিদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

কৃষিবিদদের ঐতিহাসিক এ সম্মানকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১১ সাল থেকে প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি জাকজমকপূর্ণ ভাবে কৃষিবিদগণ দিবসটিকে ‘কৃষিবিদ দিবস’ হিসাবে পালন করে আসছেন।

0 comments on “যেভাবে এলো কৃষিবিদ দিবস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ