করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত চলমান বিধি-নিষেধকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় রাজধানীর কাঁটাবন মার্কেটের শোভাবর্ধক জীবন্ত মাছ ও পশু-পাখির জীবন রক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এ লক্ষ্যে মার্কেটের মাছ ও পশু-পাখির দোকানগুলো চলমান বিধি-নিষিধের মধ্যে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যা অন্তত দুই ঘণ্টা করে খোলা রাখার ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে চিঠি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের তাৎক্ষণিক নির্দেশে গতকাল সোমবার (১২ জুলাই) এসংক্রান্ত চিঠি জারি করেছে মন্ত্রণালয়। কাঁটাবন মার্কেটের অ্যাকুয়া ও পেটস অ্যাসোসিয়েশন এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।
জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান বিধি-নিষেধকালে কাঁটাবন মার্কেটের পশু-পাখি ও মাছের দোকানগুলো সংকটে পড়েছে। দোকানগুলোতে বিদ্যমান জীবন্ত শোভাবর্ধক মাছ ও পশু-পাখিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিয়মিত খাদ্য, পানি ও রোগ প্রতিরোধক টিকা ও ওষুধ সরবরাহ করতে হয়। পাশাপাশি পরিচর্যা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করাও আবশ্যক।
চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে এসব কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পশু-পাখি ও মাছ মারা যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাছ ও পশু-পাখির জীবন বাঁচাতে কাঁটাবন মার্কেটের সংশ্লিষ্ট দোকানগুলো দিনের নির্দিষ্ট সময় খোলা রাখার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘কাঁটাবন মার্কেটের বিভিন্ন পোষা প্রাণী ও শোভাবর্ধক মাছের জীবন রক্ষা করতে আমরা চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও দোকানগুলো প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য খোলা রাখার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে পশু-পাখি ও মাছের খাবার দেওয়া, জীবন রক্ষাকারী টিকা ও ওষুধ দেওয়া, আলো-বাতাস প্রবেশের সুযোগ দেওয়া এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পশু-পাখি বা মাছ মারা যাবে না। এ বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন।’