Saturday, 11 October, 2025

কাঁটাবন মার্কেটের মাছ ও পশু-পাখির জীবন রক্ষায় উদ্যোগ


করোনা সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত চলমান বিধি-নিষেধকালে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় রাজধানীর কাঁটাবন মার্কেটের শোভাবর্ধক জীবন্ত মাছ ও পশু-পাখির জীবন রক্ষার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এ লক্ষ্যে মার্কেটের মাছ ও পশু-পাখির দোকানগুলো চলমান বিধি-নিষিধের মধ্যে প্রতিদিন সকাল ও সন্ধ্যা অন্তত দুই ঘণ্টা করে খোলা রাখার ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগে চিঠি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন
বাংলাদেশে ভেনামি চিংড়ি চাষ: সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়
বাংলাদেশের ভেনামি চিংড়ি

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চিংড়ি শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পোশাক শিল্পের পরেই স্থান করে নিয়েছে। তবে Read more

নিরাপদ মাছ উৎপাদনে আসছে ‘জাতীয় মৎস্য নীতি ২০২৫

দেশের প্রোটিনের চাহিদা পূরণে এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় মৎস্য অধিদপ্তর ‘জাতীয় মৎস্য নীতি ২০২৫’ এর খসড়া তৈরি করেছে। এই নতুন নীতিমালার Read more

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের তাৎক্ষণিক নির্দেশে গতকাল সোমবার (১২ জুলাই) এসংক্রান্ত চিঠি জারি করেছে মন্ত্রণালয়। কাঁটাবন মার্কেটের অ্যাকুয়া ও পেটস অ্যাসোসিয়েশন এ বিষয়ে মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

জননিরাপত্তা বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব বরাবর পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে চলমান বিধি-নিষেধকালে কাঁটাবন মার্কেটের পশু-পাখি ও মাছের দোকানগুলো সংকটে পড়েছে। দোকানগুলোতে বিদ্যমান জীবন্ত শোভাবর্ধক মাছ ও পশু-পাখিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য নিয়মিত খাদ্য, পানি ও রোগ প্রতিরোধক টিকা ও ওষুধ সরবরাহ করতে হয়। পাশাপাশি পরিচর্যা এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করাও আবশ্যক।

চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে এসব কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হওয়ায় পশু-পাখি ও মাছ মারা যাচ্ছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মাছ ও পশু-পাখির জীবন বাঁচাতে কাঁটাবন মার্কেটের সংশ্লিষ্ট দোকানগুলো দিনের নির্দিষ্ট সময় খোলা রাখার ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘কাঁটাবন মার্কেটের বিভিন্ন পোষা প্রাণী ও শোভাবর্ধক মাছের জীবন রক্ষা করতে আমরা চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও দোকানগুলো প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময়ের জন্য খোলা রাখার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে পশু-পাখি ও মাছের খাবার দেওয়া, জীবন রক্ষাকারী টিকা ও ওষুধ দেওয়া, আলো-বাতাস প্রবেশের সুযোগ দেওয়া এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সুযোগ করে দেওয়া সম্ভব হবে। ফলে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পশু-পাখি বা মাছ মারা যাবে না। এ বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ সহানুভূতিশীল হওয়া প্রয়োজন।’

0 comments on “কাঁটাবন মার্কেটের মাছ ও পশু-পাখির জীবন রক্ষায় উদ্যোগ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ