ইদ পরবর্তী সরকারঘোষিত কঠোর লকডাউনে কোরবানির মাংস প্রক্রিয়াজাত ও সরবরাহ এবং মাছ-মাংস-দুধ-ডিমের উৎপাদন, পরিবহন ও বিপণনের অনুমতি চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে চিঠি দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
রবিবার (১৮ জুলাই) মন্ত্রণালয়ের প্রাণিসম্পদ-১ অধিশাখা থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবকে এ চিঠি দেয়া হয়।
এতে বলা হয়, করোনা (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সার্বিক কার্যাবলি ও চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সারাদেশে খাদ্যদ্রব্য, ওষুধ এবং জরুরি পণ্য পরিবহন ও বিক্রয় বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত রাখা হয়েছে।
ঈদুল আজহার সময় এবং পরবর্তীতে সমন্বিত খামার ও মাংস প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান (বেঙ্গল মিট, দেশী মিট, সাদিক এগ্রো ইত্যাদি) গবাদি পশু কোরবানিপূর্বক প্রক্রিয়াজাত করে সেবা গ্রহীতার বাড়িতে পৌঁছে দেয়। এ কাজ সম্পন্ন করতে ঈদুল আজহার পরও ছয় থেকে সাতদিন সময়ের প্রয়োজন হবে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, দেশের জনগণের জন্য পুষ্টির চাহিদা পূরণে মাছ-মাংস, দুধ-ডিম উৎপাদন, বিপণন এবং সরবরাহ অব্যাহত রাখা প্রয়োজন। এ লক্ষ্যে এ সব খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কাঁচামালের অব্যাহত জোন নিশ্চিত করা আবশ্যক।
এ অবস্থায় বিধিনিষেধ চলাকালে কোরবানির মাংস প্রক্রিয়াজাতকরণ, মাছ-মাংস, দুধ-ডিম এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল, খাদ্য, ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম, কৃত্রিম প্রজননের সামগ্রী উৎপাদনে খামার ও কারখানা খোলা রাখাসহ সরবরাহ এবং বিপণন বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত ঘোষণার জন্য অনুরোধ করা হয়।
এর আগে ঈদুল আজহা সামনে রেখে চলমান লকডাউন শিথিল করা হলেও আগামী ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৫ আগস্ট রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর লকডাউন আরোপ করা হয়েছে।