সিলেটে কৃষকের কাছে আশীর্বাদ হয়ে উঠছে চিনাবাদাম। সিলেটে ২ হাজার ৯৯ হেক্টর জমিতে চিনাবাদাম চাষ। চিনাবাদাম ফলিয়ে লাভবানও হচ্ছেন কৃষক। এতে অন্য কৃষকরাও বাদাম চাষে আগ্রহী হচ্ছেন। এ বছর সিলেট জেলায় ১৫৫, মৌলভীবাজার জেলায় ৬২, হবিগঞ্জ জেলায় ১৫৬ ও সুনামগঞ্জ জেলায় ১ হাজার ৭২৬ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে।
কৃষকরা জানান, কৃষি বিভাগের সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ পেলে তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করে আরও বেশি বাদাম উৎপাদন করতে পারবেন।
কৃষি বিভাগের তথ্যানুযায়ী, চলতি মৌসুমে বিভাগের চার জেলায় ২ হাজার ৯৯ হেক্টর জমিতে চীনাবাদাম চাষ হয়েছিল। উৎপাদন হয়েছে ৩ হাজার ৬৭৩ টন। এতে অন্তত ৪০ কোটি টাকার চীনাবাদামের বাণিজ্য হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানায়। কৃষক পর্যায়ে প্রতি মণ বাদাম বিক্রি হয়েছে প্রায় ৪ হাজার টাকায়।
সিলেট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আবাদ হয়েছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায়। সেখানকার কৃষক বলেন, বাদাম চাষে খরচ কম। জমিতে হালচাষ করে বাদামবীজ মাটিতে বপন করলেই হলো, চিনাবাদামে সার ও কম দিতে হয়। গত বছরের চেয়ে এবার বাদামের ফলনও ভালো হয়েছে।
বাদামচাষী ও কৃষি বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, সিলেটের চিনাবাদাম রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার আড়ৎদাররা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ২০০ টাকারও বেশি দরে বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি কাঁচা বাদাম ১০০ টাকা করে বিক্রয় হলে এক মণ বাদামের বর্তমান বাজারমূল্য ৪ হাজার টাকা। এ হিসাবে এক কেদার জমিতে ২৩ হাজার ৪০০ টাকার বাদাম উৎপাদন হয়েছে। এক কেদার জমিতে চাষাবাদে সাকল্যে খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা, বাকি ১৩ হাজার ৪০০ টাকা লাভ হয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট আঞ্চলিক অফিসের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ কাজী মজিবুর রহমান বলেন, সিলেট অঞ্চলের মাটি চীনাবাদাম চাষের বেশ উপযোগী। এতে এখানকার কৃষক বাদাম চাষে উৎসাহী হচ্ছেন। সিলেট অঞ্চলে এবার ৩ হাজার ৬৭৩ টন বাদাম উৎপাদন হয়েছে। ৪ হাজার টাকা মণ ধরে হিসাব করলে দেখা যায় প্রায় ৪০ কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে বাদামচাষীদের।