Sunday, 12 October, 2025

সালথায় আপেল চাষে সফল কৃষক


ফরিদপুরের সালথায় পরীক্ষামূলকভাবে আপেল চাষে সফলতা পেয়েছেন ৩ জন আপেলচাষি।

উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ৬টি সামার গ্রিন জাতের আপেলের চাষ পরীক্ষামূলক শুরু করেন তারা।

সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের দরগা গট্টি গ্রামের গোপাল বিশ্বাস ৩টি, মিয়ার গট্টি এলাকার আরিফ হোসেন ২টি এবং অপর একটি গাছ ফরিদপুর সদর এলাকায় রোপণ করা হয়।

আরো পড়ুন
কৃষকের জন্য সেরা মোবাইল অ্যাপস: ফসল উৎপাদন ও বিপণন
কৃষকের-জন্য-সেরা-মোবাইল-অ্যাপস

কৃষিক্ষেত্রে প্রযুক্তির ব্যবহার, বিশেষত স্মার্টফোন এবং মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। আধুনিক যুগে একজন কৃষক ঘরে বসেই প্রয়োজনীয় তথ্য, Read more

বাংলাদেশে ভেনামি চিংড়ি চাষ: সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয়
বাংলাদেশের ভেনামি চিংড়ি

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে চিংড়ি শিল্প একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে পোশাক শিল্পের পরেই স্থান করে নিয়েছে। তবে Read more

এই ৬টি গাছের মধ্যে গোপাল বিশ্বাসের রোপণ করা ৩টি গাছেই চলতি মৌসুমে ফুল এবং ২ টি গাছে আপেলের গুটি এসেছে। আরেক চাষি আরিফ হোসেনের রোপণ করা একটি গাছে বেশ ভালো ফুল থাকলেও ফলের গুটি ঝরে পড়ে যায়।

কৃষি অফিস সূত্র জানায়, আপেল চাষের জন্য ফরিদপুরের সালথা এলাকার আবহাওয়া বেশ অনুকূলে রয়েছে। পরীক্ষামূলক এই আপেল চাষে সাফল্য পাওয়ায় সৌখিন অনেক ফল চাষিরা আগামীতে আপেল চাষের কথা ভাবছেন। সেই অনুসারে অনেকেই আপেল চাষের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন।

গোপাল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে ৩টি আপেল গাছের চারা রোপণ করি। নিবিড়ভাবে পরিচর্চা করার পর চলতি মৌসুমে ৩টি গাছের মধ্যে দু’টি গাছে ফল দেখতে পাই। আপেল বিদেশি ফল হওয়ায় অনেক লোক দেখতে আসছে। আমি আশা করছি আগামী বছর তিনটি গাছেই ফল থাকবে। তিনি বাণিজ্যিকভাবে আপেল চাষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলেও জানান।

এ বিষয়ে সালথা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জীবাংশু দাস বলেন, গত বছর এপ্রিলের দিকে ৬ টি আপেল চারা (সামার গ্রিন) এনেছিলাম দিনাজপুর থেকে, পরীক্ষামূলক চাষের জন্য। উদ্দেশ্য ছিল সালথা উপজেলার কৃষিকে আরেকটু সমৃদ্ধ করা, নতুন একটি প্রযুক্তি যুক্ত করা। ঝুঁকি ছিল, কারণ নতুন ফসল মাটি ও আবহাওয়ার সাথে কতটা খাপ খায় সেটা নিয়ে একটু চিন্তিত ছিলাম। তাছাড়া দামটাও একটু বেশি। সেই চেষ্টা এখন পর্যন্ত সফল। প্রথম বছরেই ২টি গাছে একটি করে ফল এসেছে, বাকিগুলোতেও ফুল আছে।

তিনি আরও জানান, ধীরে ধীরে আমাদের কৃষক এবং তরুণ উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আপেল চাষের ইচ্ছা আছে। সেটা করা গেলে পুষ্টিসমৃদ্ধ এ ফল বাইরে থেকে আমদানী করতে হবে না। ধন্যবাদ জানাই সৌখিন চাষিদেরকে যারা ঝুঁকি নিয়ে এ ফলটি চাষ করেছেন। উপজেলার ফল চাষীদের জন্য এটা অনেক বড় সাফল্য বলেও তিনি জানান।

0 comments on “সালথায় আপেল চাষে সফল কৃষক

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

সাম্প্রতিক লেখা

আর্কাইভ